গরমেও সুস্থ থাকতে ব্যায়াম করতেই হবে। হৃদ্রোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়াম ব্যাহত হলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থা। এর মধ্যে আবার ব্যায়াম! কিন্তু এ গরমেও সুস্থ থাকতে ব্যায়াম করতেই হবে। ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্থূলতা বা রক্তে বাড়তি চর্বির রোগীদের ব্যায়াম ব্যাহত হলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শরীর সুস্থ রাখতে বছরের যেকোনো সময় নিয়মিত ব্যায়াম করতেই হবে।
গ্রীষ্মকালীন ব্যায়াম বলে কিছু নেই। সাধারণত যেসব ব্যায়াম করেন, সেগুলোই এ সময় করতে পারেন। তবে গরমের সময় দুপুরে বা রোদে ব্যায়াম করা ঠিক নয়। প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় ব্যায়াম করলে ঘাম বেশি হয়। তাই ব্যায়াম বা হাঁটার জন্য ভোর বা সন্ধ্যা বেছে নিন।
● বাইরে না গিয়ে বাড়িতেও হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় কমপক্ষে ১০ মিনিট দড়িলাফ দিতে পারেন। দিন দিন সময় আরও বাড়িয়ে দিন। কম সময়ের জন্য সহজ ব্যায়াম এটি।
● বাসায় নিয়ম করে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন।
● কোনো শপিং মল বা মার্কেটেও ঘুরতে যেতে পারেন। সেখানে কিছু পছন্দের বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কেনা হবে, আবার ব্যায়ামও
হয়ে যাবে।
● ইয়োগা বা ধ্যানও করতে পারেন। এটি কোনো ঘাম না ঝরালেও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
● লিফট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
● দুপুরে ও রাতে খাওয়ার পর ছাদে বা বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গায় বা সামনের রাস্তায় একটু হেঁটে আসুন।
● গরমকালে সবচেয়ে ভালো ব্যায়ামগুলোর একটি সাঁতার। এতে গরমের যন্ত্রণা থেকেও রেহাই মেলে।
● ভালো করে ধুয়েমুছে শুয়ে পড়ুন শীতল মেঝের ওপর। মেঝের শীতলতা আপনাকে গরম থেকে মুক্তি দেবে। শুয়ে কিছু ব্যায়ামও করতে পারেন; যা আপনার কোমরে কিংবা পিঠে ব্যথা থাকলে সারিয়ে দেবে।
● বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ব্যায়াম, যেমন আর্ম স্ট্রেচিং বা লেগ লিফটিং করতে পারেন। এতে খুব একটা ঘাম হয় না, কিন্তু রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং চর্বি ঝরে যায়।
●সাইকেল চালানোর অভ্যাসও করতে পারেন। এতে একদিকে যেমন ব্যায়াম হবে, অন্যদিকে বাতাস লাগার কারণে গরমে আরাম লাগবে।
এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা