অনেকের প্রায়ই চোখের পাতার কোণ ফুলে যায়। লোকে বলে অঞ্জনি হয়েছে। এই অঞ্জনি আসলে কী?
চোখের পাতার চুল বা পাপড়ির ফলিকল এবং জেইস বা মোল গ্রন্থির পুঁজ সৃষ্টিকারী সংক্রমণকে বলে অঞ্জনি বা স্টাই। যেকোনো বয়সে হতে পারে এই রোগ। যাঁরা চোখের পাতার খুশকির সমস্যায় ভোগেন এবং চোখের পাওয়ারের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের এই রোগ হয় বেশি। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদেরও এই রোগ বেশি হয়। প্রথমবার সঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে বারবার এই রোগ হতে থাকে। এক পাতায় ভালো হয় তো অন্য পাতায় হয়, এক চোখে ভালো হয় তো অন্য চোখে হয়। খুবই অস্বস্তিকর এবং বিরক্তিকর এই রোগ।
অঞ্জনি হলে চোখের পাতার প্রান্তীয় অঞ্চল লাল হয়ে ফুলে যায়। ব্যথা হয় এবং পরের দিকে পুঁজ বিন্দু দেখা দিতে পারে। চোখের পাতা ফেললেই ব্যথা বোধ হয়। ছোট থাকলে অনেক সময় দিনে দুবার করে গরম সেঁক দিলে অঞ্জনি সেরে যায়। কিন্তু বড় হলে এবং বারবার হলে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শে জীবাণুনাশক খাওয়ার ওষুধ লাগতে পারে। চোখের পাতার পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা এবং পাওয়ারের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে।
অনেকেই মনে করেন, অঞ্জনি হলে চিকিৎসা লাগে না। এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। অঞ্জনি নিয়ে নানা কুসংস্কারও আছে। আসলে প্রথমবার সঠিকভাবে চিকিৎসা না করালে একটার পর একটা অঞ্জনি হতেই থাকবে। রোগী কষ্ট পাবে। তাই অঞ্জনি হলে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কেন এমন হচ্ছে জানতে পারলে ঠেকানো সম্ভব।
ডা. মো. সফিউল ইসলাম প্রধান: সহযোগী অধ্যাপক (গ্লকোমা ও ফ্যাকো সার্জন), বাংলাদেশ আই হসপিটাল, ঢাকা