রাত মানেই অনেকের কাছে বিশ্রামের সময়। অনেকের কাছে আবার রাত এক বিভীষিকার নাম। অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ায় ভোগা মানুষদের কাছে রাত এক কৃষ্ণগহ্বর। যার শুরু আছে, শেষ নেই। সারা রাত এপাশ-ওপাশ করে কাটিয়ে দেন, দুই চোখের পাতা এক করতে পারেন না। ঘুমের এ সমস্যার একটা কারণ হতে পারে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস। জেনে নিন ভালো ঘুমের জন্য কী কী খাওয়া উচিত, আর কী কী নয়।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুকে বলা হয় ‘ঘুমের মাসি’। কারণ, এখানে আছে ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস, যা শরীরকে শান্ত করতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্নায়ু ও মাংসপেশি শান্ত হওয়া বেশ জরুরি, যা মিষ্টি আলু অবলীলায় করে থাকে।
দুধ
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ হতে পারে বেশ উপকারী। দুধে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ‘ট্রিপটোফ্যান’ ঘুমের জন্য বেশ উপকারী।
ডিম
ঘুমের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন হলো ‘ডি’। ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকলে সহজে ঘুম আসে না। মস্তিষ্কের জিএবিএরজিক নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে। ডিমের ভিটামিন ডি ঠিক সেখানেই কাজ করে।
ফল ও বাদাম
আখরোট, কাঠবাদাম থেকে শুরু করে ফলমূল, শাকসবজি—সবই ঘুমের জন্য বেশ উপকারী। আখরোট ও কাঠবাদামে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান, যা স্নায়ু ও মাংসপেশিকে শান্ত করে। অন্যদিকে ফলমূল, সবজি ইত্যাদি ভিটামিনের জোগান দেয়, যা কিনা ঘুমে সাহায্য করে।
ক্যাফেইন–জাতীয় পদার্থ
ক্যাফেইন–জাতীয় পদার্থ হলো ঘুমের অন্যতম বড় শত্রু। চা, কফি–জাতীয় পদার্থ ঘুম কাটিয়ে দেয়। তাই সন্ধ্যা নামার পর ক্যাফেইন–জাতীয় পদার্থ থেকে দূরে থাকুন।
রাতের খাবারে ভারী খাবার
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতে খাবার গ্রহণ করুন। অনেকেই দিনের শেষ খাবার হিসেবে একটু ভারী খাবার খাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাতে ভালো ঘুমের জন্য অল্প খাওয়া উত্তম। রাতে যেহেতু কোনো ভারী কাজ করা হয় না, তাই খাবার হজমও হয় না। ফলে তা পেটে থেকে যায়। আর ভরা পেটে ঘুম দ্রুত আসতে চায় না।
ঝালজাতীয় খাবার
ঝালজাতীয় খাবার খাদ্য হজমে অসুবিধা তৈরি করে। তাই রাতে ঝালযুক্ত খাবার যত কম রাখা যায়, তত ভালো।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি শরীরে বাড়তি উত্তেজনার সৃষ্টি করে, যা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।