এ রকম বর্ষায় বা গরমকালে ভ্যাপসা গরম পড়ে। গরমের সঙ্গে থাকে পরিবেশের আর্দ্রতা। এই আবহাওয়ায় ত্বকে দেখা দেয় নানা সমস্যা।
গরমে পানিশূন্যতার কারণে ত্বকের ক্ষতি হয়, ত্বক শুষ্ক হওয়ার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বলতা হারায়। পানিশূন্যতার পরিমাণ নির্ভর করে প্রধানত একজন ব্যক্তি কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন, কতটুকু পানি পান করেন ও আবহাওয়ার ধরনের ওপর।
পানিশূন্যতায় বা পানিস্বল্পতায় চোখের চারপাশে কালো দাগ দেখা দিতে পারে ও চোখের ক্লান্তি দৃশ্যমান হয়। এখন প্রশ্ন হলো, ভ্যাপসা গরমে ত্বকের যত্নে কী করা উচিত।
ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ওয়াটার বেজড ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো।
দুই-তিন ঘণ্টা পরপর পানি দিয়ে মুখমণ্ডল ধোয়া দরকার।
গোসলের পর ত্বকের ধরন বুঝে সানব্লক ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। সূর্যরশ্মি ত্বকে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে। তাই সরাসরি সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে না যাওয়াই ভালো। দিনের বেলা বাসা থেকে বাইরে যেতে হলে সানব্লক ক্রিম, ছাতা, রোদটুপি/হ্যাট, সানগ্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত ক্ষারজাতীয় সাবান দিয়ে গোসল করলে ত্বকে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। গরম আবহাওয়ায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম না হলে, স্লিপ সাইকেল ব্যাহত হলে, এর প্রভাব ত্বকে পড়ে। ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রভ। তাই রোজ সাত-আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
এই সময় অতিরিক্ত মেকআপ করা থেকে বিরত থাকা দরকার। শুধু ওয়াটার বেজড মেকআপ বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্কতা থেকে রেহাই পাবে।
সব ধরনের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা উচিত। কোনো ব্যক্তি যদি টেনশন ফ্রি থাকেন, অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো ত্বকের কোষগুলোও রিলাক্সড থাকে, তখন ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখা যায়।
এদিকে ত্বকের যত্নে সার্বিক খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকার প্রধান উপাদানগুলোসহ সুষম খাবার খাওয়া দরকার। প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। একবারে বেশি পানি পান না করে দুই-এক ঘণ্টা পরপর পরিমিত পরিমাণে পানি পান করুন।
ডা. লুবনা খন্দকার, সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা