শরীরের ওজন অনুপাতে এক বছরের কম বয়সী শিশুর বেশি পানির প্রয়োজন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে পরিমাণটা কমে আসে। শিশুর এ চাহিদা মেটানোর প্রধান উৎস বুকের দুধ, খাওয়ার পানি, অন্যান্য পানীয় ও খাবার; যেমন তরমুজ, স্যুপ।
শিশুর শরীর থেকে পানি নির্গত হয় মূলত প্রস্রাব, মল, ত্বক ও শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে। শিশু বয়সে পানির চাহিদার দৈনিক পরিমাণ তার পরিপাক ক্রিয়া, শ্রম, শরীরের গঠন, আবহাওয়া ও সুস্থতা-অসুস্থতার ওপর নির্ভর করে। শিশুর প্রথম ছয় মাস বয়সে বুকের দুধ দেহের পানির চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট। ছয় মাস পূর্ণ হলে পরিপূরক খাবারের সঙ্গে পানির জোগান দিলেই চলে।
পানির ঘাটতির কারণে শিশুর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ও শরীরের কর্মক্ষমতা অটুট রাখতে সমস্যা হয়। ফলে শিশুর হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, রক্তচাপ হ্রাস পায়, শিশু হঠাৎ মূর্ছা যাওয়া রোগে (সিনকোপাল অ্যাটাক) পড়ে। আর এমন যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে, তবে কিডনি সমস্যা ও কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার যদি শিশু বেশি বেশি পানি পান করে, তবে তা-ও বিষক্রিয়ার মতো অবস্থা ডেকে আনে। এমন এক জটিলতা হলো ‘হাইপোনাইট্রেমিয়া’।
অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল