বেশি গরমে চারদিকে দেখা যাচ্ছে নানা রকম রোগবালাই। অনেকেরই জ্বরজারি হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে ত্বকের নানা সমস্যা। এ সময় ঘাম হয় খুব, তার থেকে ঘামাচি। গ্রীষ্মের রোগবালাই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে। ঠান্ডাজ্বর নিয়ে লিখেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান
ঠান্ডাজ্বর কেবল শীতকালেই হয় না, গরমেও অনেকের জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসজনিত সংক্রমণ এসব উপসর্গের প্রধানতম কারণ। পরিবেশ ও তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে ঠান্ডাজ্বরের মতো সমস্যা হতে পারে। হয়তো যখন উত্তাপে প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখন খুব ঠান্ডা তরল কিংবা আইসক্রিম খাওয়া হচ্ছে। কখনো আবার প্রচণ্ড গরম পরিবেশ থেকে গিয়ে ঘাম শরীরেই শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের শীতল হাওয়ায় প্রাণ জুড়াচ্ছেন। এসব থেকেই বেঁধে যেতে পারে ঠান্ডাজ্বর। বিশেষত খুব ছোট শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে এমন সমস্যা হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া যাঁদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে এ রকম সমস্যা হতে দেখা যায়।
এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। নানান রকম স্যুপ ও ফলের রস খেতে পারেন। পানীয়ে সামান্য লবণ যোগ করে নেওয়া যেতে পারে। জ্বর থাকলে কুসুম গরম পানিতে শরীর মুছে নিন, প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। গলাব্যথা বা কাশি হলে কুসুম গরম তরল খেতে পারেন। নাক বন্ধ থাকলে উষ্ণ ভাপ নিন। সর্দি-কাশির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে অ্যাজমা রোগীর ক্ষেত্রে কিছু অ্যান্টিহিস্টামিন সেবনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না।
ঘরোয়া চিকিৎসায় পাঁচ দিনের মধ্যেই সাধারণ ঠান্ডাজ্বর উপশম হয়ে যাওয়ার কথা। এর থেকে বেশি সময় ধরে উপসর্গ রয়ে গেলে কিংবা যেকোনো সময় শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা হলে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হবে।