চায়ের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকসহ আরও কিছু সমস্যায় ভুগবেন

চায়ের সঙ্গে কেক কিংবা ডোনাটের মতো চিনিযুক্ত খাবার খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যায়। এতে শরীর ক্লান্ত লাগে।

চায়ের সঙ্গে পটেটো চিপস, সল্টেড বাদাম কিংবা চানাচুরের মতো খাবার খেলে শরীরে সোডিয়ামের আধিক্য দেখা দেয়। চায়েও সোডিয়াম থাকে। ফলে চায়ের সঙ্গে এসব খেলে পেট ফাঁপে, শরীরে পানির পরিমাণ কমে, রক্তচাপ বেড়ে যায়।

মসলাদার খাবারের সঙ্গে চা খেলে হজমের সমস্যা হয়। এতে অনেকের বুকে জ্বালাপোড়াসহ আরও কিছু সমস্যা দেখা দেয়।

চায়ে লেবুর রসে কোনো সমস্যা নেই। একইভাবে মাল্টা, কমলা বা সাইট্রাস–জাতীয় অন্যান্য ফলের রসও চায়ের সঙ্গে চলতে পারে। তবে দুধ চা বা লাল চায়ের পাশাপাশি এসব ফল খেলে অ্যাসিডিটি বাড়ে। এতে পেটে অস্বস্তি হতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে প্রকট।

গরু বা খাসির মতো লাল মাংস দিয়ে তৈরি কোনো খাবার খাওয়ার পাশাপাশি চা খেলেও সমস্যা আছে। এতে বদহজম হতে পারে। চায়ের ট্যানিন নামের যৌগ লাল মাংসের প্রোটিনের সঙ্গে সহজে বিক্রিয়া করে। এ কারণে শুরু হতে পারে পেটের গোলমাল।

ক্রিমসমৃদ্ধ খাবার, যেমন চিজ কেক কিংবা আইসক্রিমের স্বাদ মুখে লেগে থাকে নিঃসন্দেহে। এসবের সঙ্গে চায়ের স্বাদ নিতান্তই ম্যাড়মেড়ে মনে হয়। খেতে তো ভালো লাগবেই না বরং চায়ের সঙ্গে বেশি মাত্রায় ফ্যাটসমৃদ্ধ এসব খাবার খেলে পেটটা ভারী ভারী মনে হবে। বাড়বে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।

প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে প্রচুর অ্যাডিটিভ, প্রিজারভেটিভ ও কৃত্রিম ফ্লেভার। চায়ের প্রাকৃতিক স্বাদের সঙ্গে এসব খাবারের স্বাদ সাংঘর্ষিক। এতে প্রদাহের সৃষ্টি হয় ও হজমের সমস্যা দেখা দেয়।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিংবা ফ্রায়েড চিকেন মতো তেলেভাজা খাবার চায়ের সঙ্গে খাওয়ার পর আপনার আলসেমি লাগতে পারে; দুর্বল বোধ করতে পারেন। এসব খাবারে চর্বির পরিমাণ অনেক বলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ওপরের তালিকা দেখে নিশ্চয়ই এই প্রশ্নই আপনার মাথায় ঘুরছে। চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন চিড়া, মুড়ি, বাদাম, বাকরখানি, বিস্কুট, বিশেষ করে হোল গ্রেইন ক্র্যাকার্স। এতে চায়ের সঙ্গে টা মিলিয়ে আপনি পাবেন সুষম পুষ্টির জোগান। আর এতে চা খাওয়ার তৃপ্তিও পাবেন ষোলো আনা।

^{সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া}