শেষ কবে বিছানার চাদর বদলেছেন? প্রশ্নটা উদ্ভট সন্দেহ নেই, তবে বিষয়টা মামুলি নয় কিন্তু! বিছানার চাদরের সঙ্গে আমাদের রোজকার সম্পর্ক। ফলে এর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর নির্ভর করে আমাদের ভালোমন্দ। জেনে নিন বিস্তারিত...
কথায় আছে, সুস্থ দেহে সুস্থ মন। শরীর সুস্থ রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যতটা প্রয়োজনীয়, ততটাই দরকার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে যে বিছানার ওপর আমরা শরীরটা ছেড়ে দিই, তাতে জমতে থাকে ঘাম ও ধুলার আস্তরণ। না ঝাড়লে এসব ময়লা জমতে থাকে বিছানার চাদরে। ফলে দ্রুতই সৃষ্টি হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। খালি চোখে দেখা না গেলেও এসব ময়লা আমাদের ত্বক থেকে শুরু করে শ্বাসতন্ত্র, এমনকি আরও বেশ কিছু অঙ্গের ওপর ফেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। কেবল কি শরীর? নোংরা চাদরের ওপর দিনের পর দিন কাটালে মনও ভালো থাকার কথা নয়।
অন্তত দুই সপ্তাহ পরপর বিছানার চাদর বদলানো উচিত। তবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে তা এক সপ্তাহেও নেমে আসতে পারে। শীতকালে যেহেতু তাপমাত্রা কম থাকে, তাই ঘামও তৈরি হয় কম। সে সময় চাইলে একটু বেশি সময় একই চাদর রাখা যেতে পারে। কিন্তু গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে সম্ভব হলে প্রতি সপ্তাহেই বিছানার চাদর পরিবর্তন করা উচিত। না হলে বিছানার চাদরে জমা ঘাম ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে নানা রকম রোগবালাই তৈরি করতে পারে।
ফলিকুলাইটিস
নিয়মিত বিছানার চাদর না বদলালে তাতে জমে থাকা ঘাম, তেল ও ময়লা লোমকূপের ভেতরে গিয়ে বাসা বাঁধতে পারে, যা থেকে হতে পারে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াসৃষ্ট রোগ ফলিকুলাইটিস; যার প্রভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গা লাল হয়ে ফুলে যায়।
ব্রণ
ব্রণ হওয়ার পেছনে নোংরা চাদর-বালিশের ‘অবদান’ অনেক। চাদরে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া থেকেই মূলত ব্রণের সৃষ্টি হয়। তাই যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁদের বিছানার চাদর বদলাতে হবে ঘন ঘন।
দাদ
দাদ একধরনের চর্মরোগ, যা ছত্রাকের আক্রমণ থেকে হয়। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল গোল চাকতির মতো সৃষ্টি হয়, যাতে প্রচণ্ড চুলকানি হয়ে থাকে।
ইম্পেটিগো
ত্বকের এ ধরনের রোগে বিশেষত শিশুদের আক্রান্ত হতে দেখা যায়। স্ট্রেপটোকক্কাস-জাতীয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এ ধরনের রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের যেকোনো ক্ষতস্থান দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে এবং ভেতরে বাসা বিস্তার করে। এ ধরনের রোগে শরীরে হলুদ দাগ দেখা যায়।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস