তাঁদের কেউ স্তন ক্যানসারে ভুগছেন, কেউ দীর্ঘ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া এই স্তন ক্যানসারের রোগীদের নিয়ে গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটিতে দিনব্যাপী আয়োজন ছিল। ‘স্তন ক্যানসার বিজয়ীদের মিলনমেলা’ নামের সে অনুষ্ঠানে ক্যানসারজয়ীরা বর্ণনা করেন তাঁদের ‘যুদ্ধ’ জয়ের গল্প, সুস্থ হয়ে ওঠার পেছনে ত্যাগ আর বেদনার অভিজ্ঞতা।
অক্টোবরজুড়ে পালিত হয় স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস। এ উপলক্ষেই ক্যানসারজয়ীদের মিলনমেলার আয়োজনটি। ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা রোগীরা ছাড়া সকাল থেকেই চিকিৎসা পাওয়া অন্য রোগীদেরও ফলোআপ করা হয়। সে সময় এই রোগীদের ‘কোয়ালিটি অব লাইফ’ বা ‘চিকিৎসা–পরবর্তী জীবনযাপনের মান’বিষয়ক গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান শাহরিয়ার কল্লোল কথা বলেন। তিনি এই হাসপাতালে ‘স্বতন্ত্র ব্রেস্ট ইউনিট’ হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পথ পরিক্রমার বিবরণ তুলে ধরেন। হাসান শাহরিয়ার কল্লোল জানান, এই রোগীদের নিয়ে করা গবেষণা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে নিবন্ধ আকারে তুলে ধরা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
২০২০ সাল থেকে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্তন ক্যানসারের সর্বাধুনিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা ‘অনকোপ্লাস্টিক ব্রেস্ট সার্জারি’ করা হচ্ছে। যেখানে সম্পূর্ণ স্তন না ফেলে শুধু টিউমার অপসারণ করে ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের ব্রেস্ট ইউনিটের প্রধান মিনহাজ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক নিজামুল হক। তিনি জানান, খুব শিগগির এই হাসপাতালে দুটি নতুন রেডিয়েশন মেশিন চালু হতে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে রেডিয়েশনের সুযোগ না পাওয়া রোগীরা চিকিৎসা পাবেন।
গতকালের অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক নাজরিনা খাতুন, সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক লায়লা শিরীন, রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আয়েশা সিদ্দিকা, হিস্টোপ্যাথলজি বিভাগের প্রধান ফরিদা আরজুমান প্রমুখ।