প্রতিদিনের কাজ শেষে রুটিন মেনে ওয়ার্কআউট করার মতো শক্তি বা ইচ্ছে থাকে না অনেকেরই। কোনো না কোনো অজুহাত বের হয়েই যায় জিমে না যাওয়ার জন্য। কর্মব্যস্ত দিন শেষে আবার জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো অনেকের কাছেই বিলাসিতা। যে কারণে বছর কিংবা মাসের শুরুতে অনেক আগ্রহ ও উদ্দীপনা নিয়ে শুরু করলেও যতই সময় এগোতে থাকে, ততই কমতে থাকে উদ্দীপনা। কিন্তু চাইলেই তো আর শরীরচর্চা ছেড়ে দেওয়া যায় না। শরীরের যত্ন না নিলে হবে কী করে! সে কারণেই শরীরচর্চার জন্য এমন কোনো পন্থা বেছে নিতে হবে, যাতে সেটাকে শরীরচর্চা বলে মনেই না হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন কিন্তু আনন্দের সঙ্গে। কীভাবে? আসুন, দেখে নেওয়া যাক...
সাঁতারের চেয়ে ভালো ব্যায়াম নাকি কিছুই হতে পারে না। সাঁতারের সময় শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সমানভাবে কাজ করে। তাই ঘড়ি ধরে সাঁতার না কেটে বরং পানিতে নেমে কিছুক্ষণ দাপাদাপি করুন। পানিতে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করলেও বেশ পরিশ্রম হয়, যার ফলে অজান্তেই ব্যায়াম করে ফেলবেন আপনি।
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও নাচের মতো ভালো ব্যায়াম খুব কমই আছে। নাচের সময় হাত-পা থেকে শরীরের সব অঙ্গেরই নড়াচড়া হয় পর্যাপ্ত, যা শরীরচর্চার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পছন্দের গানের সঙ্গে নাচলে মন যেমন উৎফুল্ল থাকবে, তেমনই ঘামও ঝরবে শরীর থেকে।
ব্যায়াম করতে ইচ্ছা করছে না? তাহলে হাঁটুন। হাঁটা হলো ব্যায়াম না করেও শরীরচর্চা করার অন্যতম সেরা উপায়। জিমে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না, কিংবা শরীরের ওপর চাপ দিতে চাইছেন না, তাহলেও হাঁটুন। শহর ঘুরে দেখা কিংবা নিজের একটু প্রশান্তির জন্য হাঁটাও বেশ উপকারী। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব হাঁটুন। এটা শরীরচর্চার থেকেও বেশি উপকারী।
শরীরচর্চার বিকল্প হিসেবে আরেকটা ভালো সমাধান হলো সাইক্লিং। ব্যস্ত শহরে যানজটের মধ্যে সাইকেল হতে পারে যোগাযোগের ভালো বিকল্প। সাইকেল চালানো শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। পা ও হাতের মাংসপেশির ব্যায়াম যেমন হয়, তেমনই চলাচলের বাহন হিসেবে সময়ও সাশ্রয় হয় অনেকটা। যোগাযোগের জন্য ব্যবহার না করলেও শরীরচর্চার বিকল্প হিসেবে সাইকেল চালান নির্দ্বিধায়।
ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর। কিন্তু সুস্থ মন ও দেহের জন্য সুস্থ একটা পরিবেশ বেশ জরুরি। আর নিজের ঘর যখন পরিষ্কার করবেন, তখন শরীরটাও ঘেমেনেয়ে উঠবে। এতে শুধু ঘরই সুন্দর ও পরিষ্কার হবে না, আপনার ক্যালরিও পুড়বে সমানতালে।