ঈদে গরু বা খাসির মাংস একটু বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এগুলো গুরুপাক খাবার। বদহজম হতে পারে, পেট গরম করতে পারে। তাই খাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতন থাকা দরকার।
নিজে যেমন একসঙ্গে বেশি খাবেন না, অন্যকেও খাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করবেন না। আর যত ব্যস্ততাই থাকুক, দ্রুত খাবার খাবেন না। প্রথমত এতে শ্বাসনালিতে খাবার আটকে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তা ছাড়া দ্রুত খাবার খেলে পেটে গ্যাস, বদহজম, পেট খারাপ হতে পারে। তাই অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে খাবার খান, এতে খাবার সহজে হজম হয়।
এ সময় পেট ঠান্ডা রাখতে খেতে পারেন ডাবের পানি, লেবুপানি, পুদিনার পানি। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে বেলের শরবত, ইসবগুল দিয়ে তৈরি শরবত পান করুন।
রোজ মৌসুমি ফল খান। এখন আম, জাম, জামরুল, লিচু পাওয়া যাচ্ছে। তবে ডায়াবেটিক রোগীরা মাঝারি আকৃতির আম অর্ধেক খাবেন। লিচু একসঙ্গে বেশি খাবেন না। কারও যদি পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকে, তাহলে পাকা কলা খেতে পারেন।
বদহজম হয়ে পেট খারাপ হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, প্রচুর পানি পান করুন। স্যালাইন বানানোর সময় সতর্ক হোন। মেয়াদ ঠিক আছে কি না, দেখুন ও সঠিকভাবে তৈরি করুন।
ঈদের সময়টায় টাটকা সবজি ও সালাদ খেতে ভুলবেন না। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে এগুলো বাদ দেওয়া যাবে না।
খাবার খাওয়া রাত আটটার মধ্যে শেষ করে ফেলুন। রাতে দেরি করে খাওয়া ও অধিক রাতে নাশতা করা পরিহার করুন।
ক্যাফেইন ও কার্বনেটেড পানীয়, ধূমপান, ঝাল ও বাসি খাবার বর্জন করুন।
লেখক: সহযোগী কনসালট্যান্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা