ওজন কমানোর জন্য ডায়েট ও শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা দরকার। এ ছাড়া জানা দরকার ওজন বাড়ার কোনো অন্তর্নিহিত কারণ আছে কি না। হাইপোথাইরয়েডিজম, কুশিং সিনড্রোম, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগবালাই আছে কি না।
উচ্চতা ও ওজন দেখে ক্যালরির হিসাব করে ডায়েট ঠিক করতে হবে। রোগীর আদর্শ ওজন কত হওয়া উচিত, সেটা আগে নির্ধারণ করতে হবে। প্রথমে পাঁচ কেজি ওজন কমানোর টার্গেট করতে হবে।
অনেক গবেষক বলেন, পানি পান ওজন কমাতে সহায়ক। এটা কতটুকু সঠিক?
কিছু গবেষণা বলছে, প্রতিদিন এক গ্লাস পানি বেশি খেলে ওজন বাড়ার প্রবণতা কমে আসে। পানি ব্রাউন ফ্যাটের পরিমাণ কমায়। পানি খেলে অতিরিক্ত খাবারের প্রবণতাও কমে আসে। খাওয়ার আগে পানি খেলে খিদে কমে যায়। খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস বা দুই গ্লাস পানি পান করতে পারেন। যাঁদের হজমের সমস্যা বা পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়, তাঁরা পানি খেতে পারেন এক ঘণ্টা আগে।
যাঁরা হাই ক্যালরি ড্রিংকস খান, তাঁদের এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। পানি ছাড়া অন্য পানীয় গ্রহণ করবেন না। ঠান্ডা, গরম বা স্বাভাবিক যে তাপমাত্রারই হোক না কেন, খাওয়ার আগে পানি পান ভালো। এ ছাড়া যথেষ্ট পানি খেলে ত্বক, চুল, কিডনি ভালো থাকে, পেটের সমস্যা (গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য) দূর হয়। নারীরা দিনে দুই লিটারের একটু বেশি ও পুরুষেরা তিন লিটার পানি পান করা ভালো। তবে শুধু পানি পানের ওপর নির্ভর করলেই ওজন কমবে না।
অনেক বেশি ক্যালরি আছে, এমন খাবার খাবেন না। খাবারের প্লেটের অর্ধেক রাখবেন সালাদ ও সবজি। আর রোজ ৪৫ মিনিট হাঁটবেন বা ব্যায়াম করবেন।
ডা. রোজানা রউফ, অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হসপিটাল লিমিটেড, পান্থপথ, ঢাকা