পিরিয়ডের দিনগুলোয় অনেক রক্ত বের হয়। তাই শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি জন্য আয়রন ও প্রোটিন–সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভালো।
মেয়েদের পিরিয়ডের দিনগুলোতে ব্যথা, অস্বস্তি ও মেজাজের পরিবর্তন হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। কারও পেট নরম হয়, কারও বেশি খিদে পায়, মিষ্টি খেতে মন চায়, কারও আবার বমি বমি লাগে। পিরিয়ডকালে এসব সমস্যা কমাতে ডায়েট জরুরি।
১. আয়রন–সমৃদ্ধ খাবার: এ সময় অনেক রক্ত বের হয়। তাই শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি জন্য আয়রন ও প্রোটিন–সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, ডাঁটাশাক, কচুশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি খেতে হবে। এ ছাড়া ফুলকপির পাতা, ছোলাশাক, ধনেপাতা, তরমুজ, পাকা তেঁতুল, কালো জাম, খেজুর ও আমড়া খাওয়া ভালো।
২. মাছ: ইলিশ, কোরাল, রূপচাঁদা, বেলে, চিংড়ি, ফোঁপা, লইট্টা, লাইখ্যাসহ প্রভৃতি সামুদ্রিক মাছে রয়েছে মিনারেল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি। এগুলো পিরিয়ডকালে শরীরের ক্ষয় পূরণ করে ও ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে।
৩. কলা: ম্যাগনেশিয়ামের অভাব পূরণ করতে কলা খাওয়া উচিত। কলা পটাশিয়াম ও ভিটামিনের ভালো উৎস।
৪. পানি: পিরিয়ডকালে রক্তের পাশাপাশি অনেক পানি বা তরল বের হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। তবে চা, কফিসহ যেকোনো কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
৫. ফলমূল: শরীরে আয়রনের শোষণরোধে ভিটামিন সি জরুরি। পেয়ারা, আমড়া, আমলকী, লেবু, জলপাই, জাম্বুরা ও পাকা টমেটোয় আছে প্রচুর ভিটামিন সি।
ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়া ভালো। কারণ, এ সময় শরীরে কিছু হরমোনের পরিবর্তন হয়, ওজন একটু বাড়ে। চর্বি বা তেলযুক্ত খাবার খেলে অস্বস্তি বাড়ে।
মিষ্টি খাবার বেশি খাওয়া উচিত নয়। এতে রক্তে সুগারের মাত্রার পরিবর্তন হতে পারে। তাতে মেজাজ খারাপ, মুড সুইং হতে পারে।
লবণ কম খাওয়া উচিত। কারণ, লবণ শরীরে পানি জমানো ও ফোলার প্রবণতা বাড়াবে। একই কারণে প্রক্রিয়াজাত খাবারও খেতে বারণ।
চা ও কফিতে থাকা ক্যাফেইনের কারণে অনেকের পেটব্যথা বা অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। বুক ধড়ফড় করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
দুধজাতীয় খাবার যেমন পনির, চিজ, আইসক্রিম বেশি না খাওয়াই ভালো। এগুলোতে পেটের অস্বস্তি ও বদহজম বেড়ে যায়।
ইসরাত জাহান, পুষ্টিবিদ, সাজেদা ফাউন্ডেশন