মাসিকের সময় তলপেটে খানিক ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বিশেষত ২০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এমন ব্যথা হয়ে থাকে। তা ছাড়া যেকোনো বয়সেই মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে কিংবা অনিয়মিত মাসিক হলে বেশি ব্যথা হতে পারে। কারও কারও আবার মাসিক শুরু হওয়ার আগের কয়েক দিন পেটব্যথা হয়। এমন ক্ষেত্রে মাসিক শুরু হওয়ার পর ব্যথা সেরে যেতেও দেখা যায়।
যন্ত্রণায় কাতর হয়ে প্রতি মাসেই দৈনন্দিন জীবন থেকে ছিটকে পড়লে জীবনের স্বাভাবিক এই বিষয়কে অসুস্থতা বলে মনে হতে পারে আপনার। তাই এমন কিছু উপায় জেনে নিতে পারেন, যাতে সহজেই মাসিকের ব্যথা কমে যায়।
তলপেট ও পিঠের নিচের অংশে কিছুক্ষণ উষ্ণ কিছু ধরে রাখুন, আরাম পাবেন।
তলপেট, পিঠ ও কোমরে মালিশ নিতে পারেন, মিনিট কুড়ির জন্য।
উষ্ণ পানিতে গোসল করতে পারেন।
হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন।
মাসিকের ব্যথা কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগব্যায়ামও করতে পারেন।
ধ্যান করলেও কাজে দেয়।
রোজ পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
কুসুম গরম পানিতে আদাকুচি মিশিয়ে খেতে পারেন।
চা-কফি, চকলেট, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
এসব উপায় অবলম্বনের পরেও ব্যথায় কষ্ট পেলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তাতেও সমস্যার সমাধান না হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনলে দীর্ঘ মেয়াদে উপকার পাবেন। স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং চাপমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করুন। উদ্ভিজ্জ উৎসের খাবার গ্রহণ করুন। উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন। কাঠবাদাম ও আখরোট খেতে পারেন। দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খাবেন রোজ।
কিছু উপসর্গ খেয়াল রাখুন, যেগুলোর কোনোটি দেখা দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন—
ব্যথার কারণে ক্রমাগত নিজের দৈনন্দিন কাজের ব্যাঘাত ঘটা, অর্থাৎ প্রতি মাসেই এমনটা ঘটা।
সময়ের সঙ্গে ব্যথার তীব্রতা বাড়া।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া। মনে রাখবেন, চাকা চাকা রক্ত যাওয়ার অর্থও কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।
মাসিক অনিয়মিত হওয়া।
২৫ বছর বয়স পেরোনোর পর মাসিকের সময় নতুন করে তীব্র ব্যথা অনুভব করা।
ব্যথার সঙ্গে বারবার পাতলা পায়খানা হওয়া।
জ্বর হওয়া, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব যাওয়া।
মাসিক সেরে যাওয়ার পরেও ব্যথা হওয়া।
সূত্র: হেলথলাইন