থানকুনিপাতার রস স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, এই ধারণার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। ধারণাটি আসলে কতটা যৌক্তিক? চলুন থানকুনিপাতার রসের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
থানকুনিপাতার গুণ
পায়ের ফোলা কমিয়ে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।
পোড়া ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
স্নায়ুর প্রদাহজনিত রোগ যেমন আলঝেইমার, পারকিনসনস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
চর্মরোগ যেমন ব্রণ, শ্বেতী নিরাময়ে সাহায্য করে।
বহুমূত্র রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ওজন হ্রাস করে।
ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
রক্তচাপ কমায়।
থানকুনিপাতার রস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে না।
আমাশয় নিরাময়ে কোনো ভূমিকা পালন করে না বরং থানকুনিপাতার রস সেবনের ফলে বমি বমি ভাব ও পেটে ব্যথা হতে পারে।
যেসব ক্ষেত্রে থানকুনিপাতার রস নিরাপদ নয়
যাঁরা লিভারজনিত জটিল রোগে ভুগছেন।
যাঁরা ঘুমের ওষুধ সেবন করছেন।
সর্বোচ্চ কতটুকু খাওয়া যাবে
প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষ সর্বোচ্চ ৬০-১৫০ মিলিগ্রাম থানকুনিপাতার রস পান করতে পারবেন, ৪-১২ মাস পর্যন্ত।