কেন আমাদের মন ভালো লাগে? আমরা কেন খুশি হই? সন্তুষ্ট থাকি? কারণটা হলো ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন—এই চার হ্যাপি হরমোন। এসব হরমোনের কারণেই আমরা খুশি হই, আনন্দে থাকি। আমাদের মনমেজাজ ভালো থাকে। আর এসব হরমোনের অনুপস্থিতিতে আমরা ‘ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না’ রোগে আক্রান্ত হই। কিছুই যেন ভালো লাগছে না। কোনো কিছুতেই মন বসছে না। এমন সব সময়ও ‘হ্যাপিনেস কেমিক্যাল’ বা যেসব হরমোনের কারণে নিজের ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে, সেগুলো আপনার শরীরে উৎপাদন করতে পারেন। কীভাবে?
১. ডোপামিন: ‘ফিল গুড’ হরমোন
কিছুই ভালো লাগছে না যখন, হাঁটতে বের হন। শারীরিক পরিশ্রম হয়, এমন কিছু করুন। ফেলে রাখা কোনো একটা কাজ শেষ করুন। বাসার আশপাশের কোনো একটা রেস্তোরাঁ বা নতুন কোনো জায়গায় গিয়ে নিজেকে আনন্দ দিন। এসবের কোনো কিছুই ভালো বিকল্প মনে না হলে ঘুমিয়ে পড়ুন। ডোপামিন নিঃসরণ হবে। ভালো লাগবে। প্রেমে পড়লে ডোপামিন নিঃসরণ বেড়ে যায়।
২. অক্সিটোসিন: লাভ হরমোন
আপনি কি জানেন, যাঁরা অন্যের ভালো দেখে হিংসা করে, তাঁরা অসুখী! কেননা, তাতে অক্সিটোসিনের নিঃসরণ খুবই কমে যায়। নিজের ভেতরে তখন আত্মবিশ্বাসহীনতা ও হীনম্মন্যতা কাজ করে। যাঁর পোশাক, ব্যাগ, সফলতা দেখে আপনার মনের ভেতর কিঞ্চিৎ ‘জ্বালাপোড়া’ শুরু হয়, প্রকাশ্যে তাঁর প্রশংসা করুন। ভালো উদ্যোগ বা ভালো কিছুর প্রশংসা করায় কোনো কার্পণ্য করবেন না। কেননা, অন্যের প্রশংসা করলে আপনার নিজের শরীর থেকেই অক্সিটোসিন নিঃসরণ হবে। তাতে আপনার ভালো লাগবে। শিশু ও পোষা প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটান। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরুন। চুমু খান। হাত ধরুন। সঙ্গী বা সন্তানের সঙ্গে জড়াজড়ি করে শুয়ে থাকুন। শারীরিক সংস্পর্শে থাকুন। তাঁকে জানান যে আপনি তাঁকে কত ভালোবাসেন।
৩. সেরোটোনিন: প্রকৃতি আর বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত
সেরোটোনিন নিঃসরণের জন্য মন খুলে কথা বলুন। রোদে, প্রকৃতিতে সময় কাটান। মেডিটেশন করুন। প্রার্থনা করুন।
৪. এন্ডোরফিন: ব্যথা উপশমকারী হরমোন
একটা সিনেমা দেখতে বসুন। বই পড়ুন। গান শুনুন। হাসুন প্রাণ খুলে। এন্ডোরফিন প্রাকৃতিকভাবে শারীরিক ও মানসিক ব্যথা উপশম করে। যখন আমরা শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হই, তখন এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়। হাসলে সবচেয়ে বেশি এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়।