রাতে ঘুমের মধ্যে বা নড়াচড়ার সময় পায়ের পেশিতে টান লাগলে এক কষ্টকর অনুভূতি হয়। পায়ের মাংসপেশিতে টান লাগাকে বলে মাসল ক্র্যাম্প বা মাংসপেশির সংকোচন। হঠাৎ মাংসপেশির অস্বস্তিকর সংকোচন ঘটলে এমন হয়। এটি সাময়িক হলেও বেশ কষ্টদায়ক।
● শরীরে পানির অভাব হলে মাংসপেশির কার্যকারিতা প্রভাবিত হয়।
● পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি মাংসপেশি সংকোচনের কারণ হতে পারে।
● দীর্ঘ সময় ধরে একই মাংসপেশি ব্যবহার করলে টান লাগতে পারে।
● শীতল পরিবেশে রক্ত সঞ্চালন কমলে মাংসপেশিতে টান ধরে।
● দীর্ঘক্ষণ ভুল ভঙ্গিতে থাকলে মাংসপেশিতে চাপ পড়ে ও টান লাগে।
● রক্ত চলাচলে বাধা থাকলে মাংসপেশি সংকুচিত হতে পারে।
● গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে ক্র্যাম্প হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
● বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি দুর্বল হয়। তখন এ সমস্যা বেশি হয়।
● ডায়াবেটিস, থাইরয়েড বা স্নায়ুজনিত সমস্যায় এমন হতে পারে।
● আক্রান্ত স্থানের মাংসপেশি ধীরে ধীরে টেনে প্রসারিত করুন। পায়ের আঙুল ধরে সামনের দিকে টানুন। হাঁটুর পেছনের দিকে টান লাগলে পায়ের পাতা সামনে রেখে সোজা বসে ধীরে ধীরে প্রসারিত করুন।
● টান ধরা স্থানে হালকা ম্যাসাজ করুন।
● গরম পানির ব্যাগ বা গরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। প্রথমে ঠান্ডা সেঁক দিন এবং পরে গরম সেঁক দিন।
● পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পানিশূন্যতা কমাতে স্যালাইন বা ইলেকট্রোলাইট–সমৃদ্ধ পানীয় খেতে পারেন।
● প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন–জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন।
● নিয়মিত স্ট্রেচিং: ব্যায়ামের আগে ও পরে স্ট্রেচিং করলে মাংসপেশির সংকোচন কম হয়।
● দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
● প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করুন, বিশেষ করে ইলেকট্রোলাইট–সমৃদ্ধ খাবার।
● আরামদায়ক ও সঠিক মাপের জুতা পরুন।
● অতিরিক্ত পরিশ্রম বা দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকা এড়িয়ে চলুন।
● যদি মাংসপেশির টান বারবার ঘটতে থাকে।
● দীর্ঘক্ষণ ব্যথা থাকলে বা প্রচণ্ড অস্বস্তি লাগলে।
● মাংসপেশিতে ফোলা বা লালচে ভাব দেখা দিলে।
● অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার (যেমন ডায়াবেটিস বা নার্ভের সমস্যা) কারণে মাংসপেশিতে টান লাগছে বলে মনে হলে।
এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি