ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম সেলফি তুলছেন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে
ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম সেলফি তুলছেন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে

সেলফি কি কেবল মানসিক স্বাস্থ্যই ভালো রাখে? শারীরিক উপকারিতাগুলোও জেনে রাখুন

দুনিয়ায় হাজারো দিবসের ভিড়ে আন্তর্জাতিক সেলফি দিবসও যে আছে, এটা জানেন? দিবসটি পালিত হয় ২২ জুন। এই লেখা অবশ্য সেলফি দিবস নিয়ে নয়। আজ বরং সেলফির উপকারী দিক নিয়ে বলি। ভাবছেন, কেবল মানসিক স্বাস্থ্যের উপকারিতা? না, সেলফি শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। বিস্তারিত জানা যাক...

রোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করে

সেলফি যে আপনার জীবন রক্ষা করতে পারে, সেটা কি বিশ্বাস করেন? নতুন একটি গবেষণায় জানা গেছে, সেলফি রোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করে। সেলফি বিশ্লেষণ করে চিকিৎসাবিশেষজ্ঞরা হৃদ্‌রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা নির্ণয় করতে পারেন। কারণ, মানুষের মুখেই এই রোগের বৈশিষ্ট্য বেশি ফুটে ওঠে অন্য কিছুর তুলনায়।

নিজের যত্নের জন্য সেলফি

অনেকেই মনে করে, সেলফি আত্মমগ্নতার মতো একটি ব্যাপার, কিন্তু এটা ঠিক নয়। গবেষণা বলছে, নিজের যত্নের ক্ষেত্রেও সেলফি ভূমিকা রাখে। একটি ভালো সেলফি তুলতে গেলে সুন্দর একটি ভঙ্গি দরকার এবং নিজের জড়তা দূরে রাখতে হয়। দেখা যায়, এটি করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় বিরূপ পরিস্থিতি ভুলে যাই।

মুড ভালো করতে পারে

হাসি যে একজনের মুড ভালো করে দেয়, সেটা তো প্রমাণিত। সেলফি কখনো কখনো আপনাকে হাসির ভান করতে বাধ্য করে। তাই একটি সুন্দর ছবি বা সেলফি তুলতে গিয়ে দেখবেন আপনি ভালো বোধ করছেন। এমনকি হাসিমাখা ছবি আপনার পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুবান্ধবকে পাঠালে তাঁরাও খুশি হবেন। হতে পারে, এই ছবির সুবাদে আপনার সঙ্গে তাঁদের তোলা হাসিমাখা পুরোনো ছবি আপনাকে পাঠাচ্ছেন। তখন আপনার ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।

আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে

আত্মপ্রেম একটি বড় ব্যাপার এবং এটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যে ভালো, তা এখন অনেকেই অনুধাবন করতে শুরু করেছেন। আপনার তোলা সেলফি যখন অন্যরা পছন্দ করবে, তখন নিজের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়। আর নিজের প্রতি ভালো লাগা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির অন্যতম একটি ধাপ। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সেলফি তোলে না, তাদের তুলনায় যারা সেলফি তোলে তারা বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়।

আপনার তোলা সেলফি যখন অন্যরা পছন্দ করবে, তখন নিজের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়

সামাজিক হতে সাহায্য করে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা সাধারণত সেলফিই বেশি শেয়ার করি। সেলফি শেয়ার করার কারণে লোকজন আপনাকে অনেক বেশি জানতে পারে। এমনকি এর মাধ্যমে অনেকের সঙ্গে পরিচয় ও কথাবার্তার সুযোগও ঘটে। সেলফির কল্যাণেই নিজের বিচ্ছিন্ন ও নিঃসঙ্গ সময়কে পাশ কাটিয়ে সবার সামনে নিজেকে মেলে ধরার পথ তৈরি হয়।

স্মৃতি ধরে রাখার উপায়

আমরা সবাই স্মৃতিকাতর। ফেলে আসা সময় কিংবা সঙ্গ আমাদের স্মৃতিকাতর করে তোলে কোনো না কোনোভাবে। সেলফি তাই স্মৃতি রোমন্থনের অন্যতম উপায়। সেলফির মাধ্যমে নিজেদের মধুর সময়গুলো বন্দী করে রাখা যায় সহজেই।

সূত্র: হার বিউটি