ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে শুরু হয় কারও দিন। কারও আবার দিনে কয়েক কাপ চা না হলে চলেই না। স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই আজকাল সাধারণ চায়ের বদলে গ্রিন টিসহ নানা ভেষজ চা পান করেন। তাঁরা অপরাজিতা ফুলে তৈরি চা বেছে নিতে পারেন।
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বহু বছর ধরে অপরাজিতা ফুল সুস্থতা ও সৌন্দর্য ধরে রাখার দাওয়াই হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক তেমনি ভেষজ গুণও অনেক। আর গাছেরও খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। তাই বাড়ির ছাদে অথবা বারান্দার টবে এই গাছ লাগিয়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি খেতে পারেন এর চা।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়
অপরাজিতা ফুলের চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। যা রক্তচাপ কমিয়ে হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ কমায়। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।
ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ কমায়
অপরাজিতা ফুলের চায়ে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন, প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন এবং কোয়ারসেটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা অকাল বার্ধক্যের কারণ হিসেবে পরিচিত ফ্রি-র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট–সমৃদ্ধ পানি শরীরে থাকা বিষাক্ত উপাদানগুলো সরিয়ে ডিটক্স করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
খাবার খাওয়ার আগে অপরাজিতা ফুলের এক কাপ চা পান করলে গ্রহণ করা খাবার থেকে গ্লুকোজ শোষণে এটি বাধা দেয় ও কমিয়ে দেয় রক্তের শর্করার মাত্রা। যা ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য উপকারী।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
অপরাজিতা ফুল নুট্রপিক হিসেবে প্রমাণিত। নুট্রপিক এমন একটি পদার্থ যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। এই ফুলের চা পানে সতেজ হয় মস্তিষ্ক, বাড়ে এর কার্যকারিতা।
মানসিক চাপ কমায়
অপরাজিতা ফুলের চায়ে থাকা এল-থেনাইন, পেপটাইড ও অ্যাডাপটোজেন নামের যৌগ মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। অ্যাডাপটোজেনের কারণে সহজেই চাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয় শরীর-মন।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
অপরাজিতা ফুলের চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলোর ক্ষতি কমায়। কোষের ক্ষতি যত কম হয়, সব ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি তত কমে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস