ফ্যাটি লিভার বা যকৃতে চর্বি জমা আজকাল খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। যদি যকৃতে দীর্ঘমেয়াদি অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় এবং এর চিকিৎসা না করা হয়, তবে এ থেকে লিভার সিরোসিস, এমনকি লিভার ফেইলিউর পর্যন্ত হতে পারে।
ফ্যাটি লিভারের তেমন কার্যকর কোনো চিকিৎসা নেই। মূল চিকিৎসাই হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ওজন কমানো, ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়াম।
● প্রচুর তাজা ফলমূল ও শাকসবজি।
● উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার। যেমন সবজি, খোসাসহ ফল।
● বাদাম ও বীজ। যেমন বাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম, চিয়া বীজ, কুমড়ার বীজ ইত্যাদি। এসব পলি ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস। এ ছাড়া বাদাম ও বীজ থেকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা ফ্যাটি লিভারের জন্য উপকারী।
● আমিষ হিসেবে চর্বি ছাড়া মাংস, মাছ, টোফুর মতো খাবার খাবেন।
● রসুন এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরের ওজন ও চর্বি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
● অত্যধিক ভাজা বা নোনতা খাবার ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ও ব্যক্তিকে স্থূল করে, যা লিভারের এ রোগের একটি সাধারণ কারণ। সুতরাং তেলে ভাজা খাবার, চিপস, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি ছাড়তে হবে।
● গরুর মাংস, খাসির মাংস ও হাঁসের মাংসে স্যাচুরেটেড চর্বি বেশি। ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যতটা সম্ভব এ খাবার এড়িয়ে চলবেন।
● মদ বা অ্যালকোহল, চিনিযুক্ত ও মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন ক্যান্ডি, কুকিজ, সোডা ও ফলের রস থেকে দূরে থাকুন।
● সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করুন।
● রক্তের লিপিডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
● ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন। কারণ, ডায়াবেটিস ও ফ্যাটি লিভার রোগ প্রায়ই একসঙ্গে হয়।
পুষ্টিবিদ, পিপলস হাসপাতাল, খিলগাঁও, ঢাকা