যাঁদের পেটে মেদ জমে, তাঁরা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন, তাঁদের কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়। পুরুষের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৪০ ইঞ্চি এবং নারীর ক্ষেত্রে ৩৫ ইঞ্চির বেশি হলে সেটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কোমরের দুই পাশের উঁচু দুটি হাড়ের ঠিক ওপর বরাবর ফিতা ধরে শ্বাস ছাড়ার ঠিক পরপরই নিতে হয় কোমরের মাপ।
পেটে যাতে মেদ না জমে, সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আর যাঁদের মেদ জমে গেছে, তাঁদের কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে, কারোরই হয়তো তা জানার বাকি নেই। তবু কেন যেন ঠিকঠাক সেসব মেনে চলা হয়ে ওঠে না। বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গেলেন কিংবা বাড়িতে ভালোমন্দ রান্না হলো, অমনি নিয়মকানুন ভুলে জম্পেশ খাওয়াদাওয়াটাই হয়ে উঠল বড়। এমন করলে কিন্তু পিছিয়ে পড়বেন। তাই থাকতে হবে দৃঢ় সংকল্প। খেয়াল রাখুন—
কঠিন ধরনের ‘ডায়েট প্ল্যান’ করবেন না, যা দীর্ঘদিন বজায় রাখা মুশকিল।
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকবেন না।
চিনিমিশ্রিত তরল বর্জনীয়।
শাকসবজি ও আমিষ (লাল মাংস নয়) দিয়ে নিজেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর খাবার। ফলমূল তো খাবেনই।
পনির, মেয়োনিজ, কেচাপ, সস, হোয়াইট সস বর্জনীয়।
পরিশোধিত (রিফাইন্ড) শর্করা এড়িয়ে চলুন।
বুফে পদ্ধতিতে পরিবেশিত খাবার খাবেন না।
কম ঘুমালে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা হয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক।
‘ফুড ডায়েরি’ লিখে রাখতে পারেন।
দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার, সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম পেটের মেদ কমানোর জন্য ভালো। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের শরীরচর্চা করুন (নইলে সপ্তাহে ৭৫ মিনিট করুন ভারী ব্যায়াম)। শরীরের সব বড় পেশিকে কাজে লাগিয়ে যেসব ভারী ব্যায়াম করতে হয়, সেগুলো করুন সপ্তাহে অন্তত দুই দিন।