এই মৌসুমে জ্বর-ঠান্ডা ঘরে ঘরে লেগেই থাকে। এমন অসুস্থতা থেকে দ্রুত সেরে উঠতে চান সবাই। ওষুধপথ্য, ঘরোয়া টোটকা—নানা কিছু দিয়েই হয়তো সেই চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু এমন কিছু ভুল করে ফেলেন অনেকেই, যাতে নিরাময় হতে বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
স্বাভাবিক জীবন ধারা অব্যাহত রাখা
অসুস্থ হলে বিশ্রাম নিতেই হবে। রোজকার কাজের ধারা থেকে ছুটি নিন। এতে আপনার কাছ থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও কমবে।
কম ঘুমানো
জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার যে স্বাভাবিক ক্ষমতা, তা কিন্তু ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই ঘুম হতে হবে ঠিকঠাক। রাতে নাক বন্ধ কিংবা কাশির জন্য ঘুমাতে অসুবিধা হলে সেটি প্রতিকারের ব্যবস্থা নিন। নাক বন্ধ থাকলে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন নরমাল স্যালাইন ড্রপ। কাশির সমস্যায় মধু, আদা ও উষ্ণ পানীয় কাজে দেবে।
অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক সেবন
অনেকেই সাধারণ ঠান্ডা-কাশিতে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে চান। অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেওয়ার জন্য চিকিৎসককে জোরাজুরিও করেন কেউ কেউ। আবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে নেন। অ্যান্টিবায়োটিকের কিন্তু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। তা ছাড়া ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের ফলে এর কার্যকারিতাও কমে যায়। তাই প্রয়োজন ছাড়া এমন ওষুধ সেবন কখনোই উচিত নয়।
পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া
গলাব্যথার জন্য হয়তো আপনার পানি গিলতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু পানি ও তরল খাবার খেলে আপনার শরীরের কোষগুলো সতেজ থাকবে। মাথাব্যথা থাকলে সেটিও কমে আসবে। তা ছাড়া উষ্ণ পানি খেলে কাশি-গলাব্যথারও উপশম হয়।
খাবার কম খাওয়া বা কোনো বেলা একেবারেই না খাওয়া
অসুস্থ হলে খাওয়ার রুচি কমে যায়। ক্ষুধাও লাগে না তেমন। কিন্তু অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে আপনার শরীরের যে ক্যালরি ও পুষ্টি প্রয়োজন, খাবার থেকেই তা আসে। তাই খাবার কম খাওয়া বা কোনো বেলায় একেবারেই না খাওয়া ভালো নয়।
ধূমপান করা
অসুস্থ অবস্থায় যদি আপনি ধূমপান করেন কিংবা আপনার আশপাশে অন্য কেউ ধূমপান করে, তাহলে আপনার ঠান্ডা-কাশির মতো উপসর্গগুলো আরও বাড়বে।
দুশ্চিন্তা করা
সাময়িক অসুস্থতা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না। দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপে থাকলে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তাতে বাড়ে প্রদাহ। অর্থাৎ ঠান্ডা-কাশির সমস্যা আরও বাড়ে।
সূত্র: ওয়েব এমডি