ফুসফুস ভালো রাখতে মেনে চলুন এই ৭ পরামর্শ

ফুসফুস সুস্থ রাখতে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন
ছবি: প্রথম আলো

গভীর রাতে হঠাৎ যদি দমটা আটকে আসে কিংবা কোনো এক সতেজ ভোরে দেখা যায় বুক ভরে শ্বাস নিতে পারছেন না, দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া তখন গত্যন্তর থাকে না। অক্সিজেন, নেবুলাইজেশন, এমনকি মারাত্মক পরিস্থিতিতে লাইফ সাপোর্টও দিতে হয়। অজান্তেই ফুসফুস জোড়া যে কী কাজ করে চলেছে, তা যেন কেবল মারাত্মক পরিস্থিতিতে পড়লেই উপলব্ধি করা যায়!

প্রাণ ধারণের জন্য বাতাস চাই, আর প্রাণ ভরে বাতাস নিতে চাই সুস্থ ফুসফুস। ফুসফুস সুস্থ রাখতে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। আর কিছু অভ্যাস ত্যাগ করাও আবশ্যক—

১. ধূমপান ছেড়ে দিন: কেবল নিজের জন্যই নয়, ধূমপানের অভ্যাস অন্যের জন্যও ক্ষতিকর। পৃথিবীর বুকে কেন ছড়াবেন বিষাক্ত ধোঁয়া? সিগারেট ফুসফুসের ক্যানসার এবং দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগের জন্য দায়ী।

ঘরে ধুলাবালু জমতে দেবেন না

২. ঘরদোর রাখুন পরিষ্কার: ঘরে ধুলাবালু জমতে দেবেন না। বিশেষ করে কার্পেটজাতীয় সামগ্রী থাকলে চাই বাড়তি সচেতনতা। ধুলাময়লা, জীবাণু, এমনকি তেলাপোকার মলও কিন্তু আটকে থাকে কার্পেটে।

৩. তেলাপোকা দূর করুন: তেলাপোকার মল এবং দেহাবশেষ ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। প্রাকৃতিক উপায়ে তেলাপোকা দূর করার চেষ্টা করুন। কীটনাশক ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ।

৪. সরঞ্জামের খেয়াল রাখুন: রান্নাঘরে চিমনি বা এগজস্ট ফ্যান লাগানো ভালো। গ্যাসের চুলা, ওভেন প্রভৃতি যেসব সরঞ্জামই রান্নার কাজে লাগে, সেগুলো ব্যবহার করুন প্রস্তুতকারকের নিয়ম মেনে। কয়লা ও কেরোসিন থেকেও ক্ষতিকর পদার্থ সৃষ্টি হয়। মাটির চুলায় রান্না করলে এমনভাবে চিমনি স্থাপন করুন, যাতে ধোঁয়া ঘরের ভেতর না থাকে। ‘বন্ধু চুলা’ এমনই এক প্রযুক্তি।

হাসলে আপনার মন ভালো থাকবে, ভালো থাকবে ফুসফুসও

৫. প্রাণ খুলে হাসুন: ‘রামগরুড়ের ছানা’ হয়ে জীবনটা পার করে কী হবে, বলুন? বরং হাসলে আপনার মন ভালো থাকবে, ভালো থাকবে ফুসফুসও।

৬. ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়ামে ফুসফুস ভালো থাকে। দৌড়ঝাঁপ, জগিং, খেলাধুলা—যা কিছুই আপনার দেহকে সচল রাখবে, তা-ই আপনার ফুসফুসের জন্য ভালো।

৭. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: হাতের মাধ্যমে করোনাভাইরাসসহ এমন অনেক জীবাণু ছড়ায়, যা ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করতে সক্ষম। তাই হাত পরিষ্কার রাখুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ করবেন না। দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করুন। নইলে মুখে জীবাণু জমতে থাকবে। আর সেখান থেকে শ্বাসনালিতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এসব জীবাণু। অবিশুদ্ধ বাতাসের নানান ক্ষতি থেকে বাঁচতে মাস্ক এক কার্যকর সমাধান। বছরজুড়েই মাস্ক পরার সু-অভ্যাস ধরে রাখুন।