মাত্র ৩০ দিন... অর্থাৎ টানা এক মাস এই নিয়মকানুনগুলো মেনে চলুন। শারীরিক, মানসিক আর বুদ্ধিবৃত্তিক—সব দিক দিয়েই আপনি হয়ে উঠবেন আরও আকর্ষণীয়। উপায়গুলো বলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল গ্রো বিজ মাইন্ডসেট। জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো।
দৈনিক ১০ গ্লাস পানি
সাধারণত দিনে দুই লিটার পানি খাওয়াই শরীরের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যদি পানিকে আরও কার্যকরভাবে নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজে খরচ করতে চান, তাহলে দুই লিটারের জায়গায় তিন লিটার পানি খান। একান্তই যদি তিন লিটার পানি খেতে না পারেন, তাহলে অন্তত ১০ গ্লাস পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। আমাদের শরীরের ৭৫ ভাগই পানি। পানি শরীরের সব বিষাক্ত উপাদান প্রস্রাব আর ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয়। এ ছাড়া পানি ত্বক সুন্দর রাখে।
কম চিনি, লবণ, তেল ও মসলা
আপনার সারা দিনের খাওয়া থেকে ফাস্টফুড বাদ দিন। শরীর সুন্দর রাখার পেছনে ৬০ ভাগ ভূমিকা রাখে খাবার। আর ৪০ ভাগ কলকাঠি নাড়ে ঘুম আর শরীরচর্চা। তাই সফট ড্রিংক, জাঙ্কফুড, অতিরিক্ত চিনি, লবণ, তেল আর মসলাযুক্ত খাবার বাদ দিন। প্রচুর শাকসবজি ও ফল খান।
শরীরচর্চা চলবে
যদি আপনি আগে থেকে শরীরচর্চা না করেন, তো আজ থেকেই শুরু করুন। ‘বিগিনার’ হিসেবে সপ্তাহে তিন দিন শরীরচর্চা করুন। শরীরচর্চা আপনার শরীর ফিট রাখবে। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলবে। শরীরকে সুন্দর কাঠামো দেবে। ঘুম ভালো হবে।
প্রতিদিন ১০ পাতা
আপনার মুঠোফোন যেমন প্রতিদিন চার্জে দিতে হয়, তেমনি মনও রাখতে হয় চার্জিং মুডে। মনের চার্জের অন্যতম জোগানদাতা বই। আপনার যদি বই পড়ার অভ্যাস আগে থেকেই থাকে, তাহলে তো হলোই। আর যদি না থাকে, তাহলে প্রতিদিন অন্তত আধাঘণ্টা বা ১০ পাতা করে পড়ুন। দৈনিক পত্রিকার পাতাও ওলটাতে পারেন। এই পড়ার অভ্যাস আপনাকে সময়ের সঙ্গে জুড়ে রাখবে। বই পড়ার অভ্যাস আপনার সৃজনশীলতা ধারালো রাখবে। কিছু সময়ের জন্য হলেও বাঁচিয়ে দেবে দৈনন্দিন জীবনের নানা দুশ্চিন্তা থেকে। বই পড়া শেষে আপনি ফুরফুরে বোধ করবেন। আপনার মেজাজ চাঙা থাকবে।
পাঁচ মিনিটের ধ্যান
আপনার শারীরিক সুস্থতা যতটা জরুরি, মানসিক সুস্থতাও ঠিক ততটাই। ধ্যান বা মেডিটেশন আপনার মনের বোঝা হালকা করবে আর ফোকাস ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। দিনের শুরুতে ঘুম থেকে উঠে পাঁচ মিনিট মেডিটেশন সারা দিন আপনার কাজে দেবে।
আট ঘণ্টা ঘুম
শরীরের চার্জিং মুড হলো ঘুম। আপনার কোনো শারীরিক ক্ষয় থাকলে ঘুমের ভেতর সেটা নিজে নিজে পূরণ হয়। নতুন কোষ তৈরি হয়। আপনার ঘুমের বিছানায় ভুলেও মুঠোফোন বা ল্যাপটপ নিয়ে যাবেন না। ৮ ঘণ্টা অবাধ ঘুম আপনাকে বাকি ১৬ ঘণ্টা কর্মক্ষম রাখবে। চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে ও একই সময়ে উঠতে।