পুষ্টি

সুস্থ থাকতে করলা রাখুন পাতে

করলার ঔষধি গুণ অনেক।
ছবি: আশরাফুল আলম

তেতো হলেও অনেকের প্রিয় সবজি করলা। ভাজি, ভর্তা, ব্যাঞ্জনে করলার কদর অনেক। করলা রুচিবর্ধক সবজি। চিংড়ি সহযোগে ভাজি, ডালের সঙ্গে রান্না কিংবা কেবল মুচমুচে ভাজা-রান্না যেভাবেই হোক করলা সমান স্বাদের। গরম ভাতের পাতে আলু-করলা ভাজি খাবারকে আনন্দদায়ক করে তোলে। চৈত্রসংক্রান্তিতে করলা বা তেতো খাবার খাওয়া বাঙালির শত বছরের ঐতিহ্যও বটে। করলার ঔষধি গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। নিয়মিত করলা খেলে রোগবালাই দূরে পালাবে।

করলার পুষ্টিমান ও কেন নিয়মিত করলা খাবেন সে সম্পর্কে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ ফাহমিদা হাশেম বলেন, এ গরমে স্বস্তি দেবে করলা, শরীর সুস্থ রাখবে। প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে ২৮ কিলোক্যালরি, ৯২ দশমিক ২ গ্রাম জলীয় অংশ, ৪ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, ২ দশমিক ৫ গ্রাম আমিষ, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম লোহা ও ৬৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

যেসব কারণে করলা খাবেন

  • করলা উচ্চরক্তচাপ ও চর্বি কমায়। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুল ভালো রাখে। বার্ধক্য ঠেকিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

  • এটি ভাইরাস ও কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে।

  • হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্তের উপাদান বাড়াতে করলার জুড়ি মেলা ভার। রক্তশূন্যতায় ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য উত্তম পথ্য করলা।

করলার রস শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
  • করলার রস শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। স্ট্যামিনা বাড়ানোর পাশাপাশি ভালো ঘুম হতেও সহায়তা করে।

  • করলা শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।

  • করলায় রয়েছে রক্তে চিনি কমানোর উপাদান। ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত করলা খেতে পারেন।

  • পানির সঙ্গে মধু ও করলার রস মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসরোগ ও গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায়।

  • করলা হজমপ্রক্রিয়ার গতি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা কমাতে নিয়মিত করলা খেতে পারেন।