শীতকালে হাঁপানি ও ব্রংকাইটিসের রোগীদের প্রায় প্রতিদিনই ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। নানা রকমের ইনহেলারের মধ্যে একেকটির ব্যবহারবিধি একেক রকম। সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে ইনহেলারের ওষুধ ঠিকমতো ফুসফুসে পৌঁছায় না এবং কাজও হয় না। জেনে নিন ইনহেলার কীভাবে ব্যবহার করবেন:
বেশির ভাগ মানুষ এখনো মিটার ডোজ ইনহেলার ব্যবহার করেন। প্রথমে এটি কয়েকবার ঝাঁকিয়ে নিতে হয়। তারপর মুখ বা ক্যাপটা খুলুন। ইনহেলার মুখে দেওয়ার আগে বড় একটা শ্বাস ছেড়ে দিন। ইনহেলারের সামনের অংশ মুখে পুরে নিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে শুরু করে একবার চাপ দিন। গভীরভাবে শ্বাস টেনে স্প্রে করা ওষুধ পুরোটা ফুসফুসের মধ্যে টেনে নিন। খেয়ে ফেলবেন না। এবার ইনহেলার মুখ থেকে বের করে শ্বাসটা বুকে আটকে রাখুন ১০ সেকেন্ড, তারপর ছেড়ে দিন। ৩০ সেকেন্ড পর একই নিয়মে পরের পাফ বা স্প্রেটা নিন।
স্টেরয়েড-জাতীয় ইনহেলার ব্যবহারের পর মুখ কুলি করে ধুয়ে ফেলতে হবে। নয়তো জিবে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে।
ইনহেলার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন। ফ্রিজে নয়। ইনহেলার ব্যবহারের আগে মেয়াদ আছে কি না, দেখে নিন।
ইনহেলারের মাউথপিস ও ক্যাপ হালকা গরম পানিতে পরিষ্কার করা যাবে, ওষুধ সংরক্ষিত ছোট্ট ধাতব বোতলটা নয়। ক্যাপ ও মাউথপিস পানিতে ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে।
অনেক সময় স্পেসারের সাহায্যে ইনহেলার ব্যবহার করতে বলা হয়। এতে ওষুধ আরও সহজে ও বেশি প্রবেশ করে।
ড্রাই পাউডার ইনহেলার চাকতির মতো। জোরে শ্বাস ছেড়ে বুক খালি করে তারপর ইনহেলার মুখে পুরে পাউডারটা টেনে নিন। এ ক্ষেত্রে শ্বাস টেনে নিতে হবে জোরে আর দ্রুত। তারপর ইনহেলার বের করে মুখ বন্ধ অবস্থায় শ্বাসটা ধরে রাখুন ১০ সেকেন্ড।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
>স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কোন কোন খাবার?
কিছু কিছু খাবার স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেয়। এগুলো মানুষের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে চিনি, ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড, লবণ, কৃত্রিম মিষ্টি উপাদান, অ্যালকোহল, এনার্জি ড্রিংক, উচ্চমাত্রায় শর্করাযুক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া খাবার ও সোডা।
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়