শিশুর ত্বকে ফুসকুড়ি সারানোর ঘরোয়া সমাধান

প্রতীকী ছবি

পঞ্জিকামতে গ্রীষ্মকাল এখনো আসেনি। তবে আবহাওয়ায় শীত চলে গিয়ে গরমের আবহ শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার তাপজনিত কারণে এ সময় আমাদের ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এ রকম আবহাওয়া বেশ বিরক্তিকর। এই গরমে আপনার প্রিয় সোনামণির মুখে, বুকে, পেটে, পিঠে, ঘাড়ে, কুচকিতে বা বগলে লাল লাল ফুসকুড়ি উঠতে পারে। ইংরেজিতে একে বলে ‘হিট র‍্যাশ’, আর বাংলায় বলে ‘তাপজনিত ফুসকুড়ি’। এর ফলে ত্বকে চুলকানি হয় এবং বাচ্চারা খুব অস্বস্তি বোধ করে।

কেন হয় হিট র‍্যাশ

আবহাওয়া হঠাৎ করে ঠান্ডা থেকে গরম হতে শুরু করলে শিশুর ত্বক দ্রুত এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না। ঘাম ও ধুলো-ময়লার জন্য ত্বকের পোর তথা লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ত্বক থেকে ঘাম ঠিকমতো বের হতে পারে না। তখনই হয় ফুসকুড়ি। আবার যে পোশাক থেকে তাপ সহজে বের হতে পারে না, শিশুকে এমন পোশাক পরিয়ে রাখলেও ফুসকুড়ি, ঘামাচি বা চুলকানি হতে পারে।

ঘরোয়া সমাধান

• শিশুর তাপজনিত ফুসকুড়ি থেকে রক্ষা পেতে বরফের সেঁক খুব কার্যকর। গামলায় ঠান্ডা পানি নিয়ে বা আইস ব্যাগ দিয়ে আক্রান্ত স্থানে এক-দুই মিনিট করে দিনে কয়েকবার সেঁক দিন।

• ঘরোয়া সমাধান হিসেবে কাঁচা শসাবাটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কাঁচা শসা বেটে বা পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুই–তিনবার এমন করুন।

• নারকেল তেলের সঙ্গে চায়ের তেল (টি ট্রি অয়েল) মিশিয়ে ব্যবহার করলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। এই দুটি তেলের মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রেখে ২০–৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

• ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) নির্যাসের নানাবিধ উপকারিতার মধ্যে ফুসকুড়ির ঘরোয়া সমাধানও খুব কার্যকর। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। ফলে অ্যালোভেরার রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে হিট র‍্যাশ কমে যায়।

• তেল বা অন্য কোনো ক্রিম ব্যবহার করবেন না। ভালো মানের ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করুন। ঘাড়, বুক, পিঠ, পেট, বগল প্রভৃতি ঢেকে থাকা স্থানে ভালো করে পাউডার ব্যবহার করলে আপনার শিশু স্বস্তি পাবে।

মেনে চলুন

• শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। নিয়মিত গোসল করাবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই হালকা সাবান ব্যবহার করবেন। গোসলের পর পাতলা তোয়ালে বা সুতি কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দেবেন।

• বেশি রোদ বা গরমে রাখবেন না। শরীর যত কম ঘামবে, ততই ভালো।

• আঁটসাঁট পোশাক পরাবেন না। ঢিলেঢালা পোশাক পরান, যেন সহজেই শরীরে বাতাস ঢুকতে পারে ও তাপ বের হয়ে যেতে পারে।