শিশুদের প্রায়ই পোকায় কামড়ে থাকে। শিশু বয়সে যেসব কীটপতঙ্গ কামড় দেয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পিঁপড়া, বোলতা, ভিমরুল, মৌমাছি, মশা, মাকড়সা, তেলাপোকা প্রভৃতি। কোনো কোনো কীটপতঙ্গের কামড় সাপের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি বিষাক্ত এবং প্রাণসংশয়ও হতে পারে। বোলতা চোখের পলকে ঘুরে ঘুরে এসে বাচ্চাকে কামড়াতে থাকে এবং স্বল্প সময়ে অসংখ্য কামড় দিয়ে মারাত্মক বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। আবার কোনো কোনো পোকা কামড়ালে তেমন কিছু হয় না, কিন্তু শিশুদের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন পোকা কামড়েছে
■ কামড়ের স্থানে দাগ, ব্যথা, ফোলা, কখনো ফুসকুড়ি, ফোসকা পড়ে। এসব উপসর্গ সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেরে যায়। তবে ত্বকের প্রদাহ বেশি হলে সেলুলাইটিস হতে পারে।
■ র্যাশ, বমিভাব, বমি, ঢোক গিলতে অসুবিধা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
■ কোনো কোনো শিশুর পোকামাকড়ের কামড়ে অ্যাজমা হয়ে শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
■ মারাত্মক অ্যালার্জিজনিত শক, রক্তচাপ কমে যাওয়া, বুকব্যথা বিরল নয়।
কী করবেন
■ কামড়ানোর স্থানে খোঁচা দেবেন না, নখ দিয়ে খুঁটতে দেবেন না। সাবান জলে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন।
■ দংশন স্থানে বরফ লাগান।
■ ব্যথা নিরাময়ে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন লোশন বা ক্রিম লাগাতে পারেন। অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খাওয়াতে পারেন।
■ শ্বাসকষ্ট, বেশি ফুলে যাওয়া, জ্বর, বমি বা অচেতন হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রতিরোধ
● মৌমাছির চাক ভাঙার সময় আশপাশে শিশুদের না থাকাই ভালো।
● ভোরে ও সন্ধ্যায় কিছু কিছু পোকামাকড়, যেমন মশা বেশি সক্রিয় থাকে। এ সময় শিশুকে ফুলহাতা জামাকাপড় পরান, কীটনাশক স্প্রে করুন।
● পার্কে, বনজঙ্গলে, পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গেলে শিশুকে দীর্ঘ আকৃতির প্যান্ট, ফুলহাতা শার্ট ও মাথায় টুপি পরান। কীট তাড়ানোর ক্রিম হাত–পায়ে লাগাতে পারেন।