একাধিক গবেষণার তথ্যমতে, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক রয়েছে। বেশি চিনি খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়, যা মানসিক বিষণ্নতা তৈরি করতে পারে।
এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে তা দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যার ঝুঁকিও বাড়ায়। তাই চিনি কম খেয়ে নিজেকে নিজের ওজন ও বিষণ্নতা কমাতে পরেন।
শরীর সচল থাকলে এন্ডোরফিন নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে অবস্থার উন্নতি করে। সূর্যের আলোয় থাকলে মস্তিষ্কে বাড়ে সেরেটোনিনের মাত্রা, যা মানসিক চাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে।
তাই গুমোট ঘরে আবদ্ধ না থেকে শরীরে আলো ও বাতাস লাগান। এতে মন ফুরফুরে থাকবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর হতাশা ও উদ্বেগের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ ক্ষতি হয়। কর্মক্ষেত্রের নেতিবাচক পরিবেশ মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে, যা কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতি ও উৎপাদন ক্ষমতা কমায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর তাই কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে যত্নবান থাকা জরুরি।
জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল সাইকোলজির একটি গবেষণা বলছে, মনস্তাত্ত্বিক চাপ কমাতে ফুল দেখা বা ফুলের কাছে যাওয়া বিশেষ কার্যকর দাওয়াই।
ফুল দেখলে নেতিবাচক আবেগ কমে, রক্তচাপ ও কর্টিসল নামক হরমোন নিঃসরণ কমে যায়। এ ছাড়া ফুল মানসিক চাপ থেকে মনকে সরিয়ে দেয় অন্যদিকে।
সূত্র: সায়েন্স ডাইরেক্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সাইকোলজি টুডে ও হেলথলাইন ডটকম