মাসিক এখনো আমাদের সমাজে ট্যাবু। বেশির ভাগ কিশোরী ও নারী জনসমক্ষে মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন। ন্যাশনাল হাইজিন ফলোআপ সার্ভে ২০১৮ অনুসারে, মাত্র ৫৩ শতাংশ স্কুলছাত্রী মাসিকের ব্যাপারে জানে। ৩০ শতাংশ ছাত্রী মাসিক চলাকালে স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। ৩৪ শতাংশ কিশোরী মাসিকের সময় পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে।
মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এমএইচএম (মেনস্ট্রুয়াল হেলথ অ্যান্ড হাইজিন ম্যানেজমেন্ট) প্ল্যাটফর্ম। মাসিক স্বাস্থ্য দিবসের এই বছরের প্রতিপাদ্য, ‘২০৩০ সালের মধ্যে মাসিককে জীবনের একটি স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা’। এ প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই প্ল্যাটফর্ম এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে এসব জরিপের ফলাফল উঠে আসে।
মাসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ২৯ মে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এমএইচএম। আয়োজনের শিরোনাম ‘মেকিং মেনস্ট্রুয়েশন আ নরমাল ফ্যাক্ট অব লাইফ বাই ২০৩০: সেলিব্রেটিং মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে’।
অনুষ্ঠানে এমএইচএম প্ল্যাটফর্মের চেয়ারপারসন ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘এমএইচএম ও এনবিআরের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত বছর সরকার ঘোষণা করেছে যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর কোনো কর থাকবে না। আমরা জ্ঞানভিত্তিক একটি অ্যাপ তৈরি করেছি, যেখানে মাসিক-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্প-সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরা হবে। অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে এসব জ্ঞান পৌঁছে দেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে মাসিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত একটি মোবাইল অ্যাপ উন্মোচন করা হয়। এমএইচএম প্ল্যাটফর্মের চেয়ারপারসন ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে ইউনিসেফের ওয়াশ স্পেশালিস্ট শফিকুল আলম ন্যাশনাল মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ২০২১-এর চিত্র তুলে ধরেন।