শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় প্রায় তিন দশক আগে, যার ভিত্তি ইনোসেন্টি ডিক্লারেশন নামের একটি স্মারকলিপি। এটি তৈরি করে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ১৯৯০ সালে সে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে বিভিন্ন দেশের সরকার, ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচওসহ অন্যান্য সংস্থা।
১৯৯১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই ঘোষণাপত্র সমর্থন করে প্রতিষ্ঠিত হয় ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন (ডব্লিউএবিএ) নামের একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক। ১৯৯২ সালে নেটওয়ার্কের উদ্যোগেই প্রথম উদ্যাপন করা হয় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। এরপর ধীরে ধীরে গুরুত্ব পায় মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। জাতিসংঘের দুই সংস্থাসহ সরকারি উদ্যোগে ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশে পালিত হয় সপ্তাহটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাতৃদুগ্ধ পানে শিশু যেমন সুস্থ–সবল হয়ে বেড়ে ওঠে, তেমনি উপকৃত হন প্রসূতি নিজেও। শুধুই মাতৃদুগ্ধ পান করালে বছরে আট লাখের বেশি শিশুর জীবন রক্ষা পাবে। যে শিশুদের বেশির ভাগেরই বয়স ছয় মাসের কম। মাতৃদুগ্ধ পান করালে মায়েদের স্তনে ক্যানসার, ডিম্বাশয়ের ক্যানসার, টাইপ–২ ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন ও উইকিপিডিয়া