চিঠি লিখে প্রেমের যে চল একসময় ছিল, আজ সেটা পুরোনো। আগে একপলক প্রেমিকাকে দেখার জন্য বাড়ির আশপাশে পায়চারি করতেন প্রেমিকেরা। এখন চাইলেই ভিডিও কলে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখা যায়। এভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রেমের ধরন ও কৌশল। আপনি যদি এ সময়ের প্রেমিক–প্রেমিকা হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য পাঁচটি টিপস।
১. যাঁকে পছন্দ করেন, দেখলেন, তিনি আপনাকে খেয়াল করছেন না। হতে পারে আপনি তাঁকে চেনেন না। তাহলে আগে নিজে তাঁকে চেনার চেষ্টা করুন। তাড়াহুড়ো করবেন না, ভুল হতে পারে।
দুজনকেই চেনেন, এমন কোনো পরিচিত ব্যক্তি আছেন কি না, দেখুন। তাঁর মাধ্যমে আগে নিজেরা পরিচিত হন, এরপর নিজের সুন্দর মনটা তাঁকে অনুভব করান। এর মানে এই না যে, আপনাকে খুব সুন্দর হতে হবে বা মেকআপ করে গিয়ে সামনে দাঁড়াতে হবে। আপনার সুন্দর ব্যবহার, ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধি আর সযত্ন স্বভাবের কোনোটি হয়তো তাঁর প্রিয় হয়ে উঠতে পারে। নিজের শখ বা পছন্দের বিষয়গুলো সুন্দর করে গুছিয়ে তাঁর সামনে উপস্থাপন করুন। দেখবেন তিনি আপনাকে যত নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন, ততই মুগ্ধতা নিয়ে কাছে আসবেন।
২. আপনার প্রেমিক যদি আপনার চেয়ে বয়সে ছোট হয়ে থাকেন, তাঁর আশ্রয় হয়ে উঠুন। তাঁর আবেগগুলো বাস্তবমুখী করতে উৎসাহ দিন। তাঁকে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য চাপ না দিয়ে উৎসাহ দিন। তাঁকে একটু ছাড় দিন, তিনি যেন নিজেকে বন্দী না ভাবেন।
৩. প্রেমিকা যদি আপনার চেয়ে বয়সে বড় হন, তবে সবকিছুতে তাঁর ওপর নির্ভরশীল হলে একটা সময় সম্পর্কের দম ফুরিয়ে যেতে চাইবে। দায়িত্ব নিতে শিখুন। প্রেমিকা আপনার থেকে বেশি বুদ্ধিমতী হলেও সব কাজে তাঁকে একা ছেড়ে দেবেন না, তাঁর পাশে থাকুন।
প্রভাব খাটানোর চেষ্টা না করে একজন আরেকজনের পরিপূরক হয়ে উঠুন। সবকিছুতে নিজের জোর খাটানোর চেষ্টা করবেন না। আবেগ কাটিয়ে বাস্তববাদী হতে প্রেমিকার সাহায্য নিন। তাঁকে আশ্বস্ত করুন, আপনি তাঁর সঙ্গী হয়েই থাকবেন।
৪. আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা যদি খুব রাগী হন, সব কাজ করার আগেই তিনি রাগ করবেন কি না, এ ভাবনার দরকার নেই। অতিরিক্ত খোশামোদ রাগ আরও বাড়াতে পারে। পরে যা স্বভাবে পরিণত হবে।
তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার রাখুন। নিজের ভুলগুলো যেন কম থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। নিজের মতো থাকুন। জোর করে নিজেকে বদলাতে যাবেন না। কোনো বিষয় লুকিয়ে রাখলে দীর্ঘ মেয়াদে সম্পর্কের ওপর তার প্রভাব পড়তে পারে।
৫. অনেকে মনে করেন, এই সময়ের প্রেমের সম্পর্ক নির্ভর করে দামি উপহার আর রেস্তোরাঁয় খাওয়ানোর ওপর। তাই আপনার সঙ্গী কি আসলেই আপনাকে পছন্দ করে, নাকি আপনার অবস্থা দেখে ভালোবাসেন, বোঝার চেষ্টা করুন। প্রেমের সময় হিসাবি আচরণ করুন।
বাইরে খাওয়া, রিকশা বা গাড়িভাড়া একবার প্রেমিক দিলে, আরেকবার প্রেমিকা দিতে চেষ্টা করুন। সব সময় শুধু একজনই বিল মেটাবেন, এমন ভাবনা ভালো না। এতে শুধু টাকার নয়, আপনার মূল্যায়নও তৈরি হয়। অনেক নারীর যেমন শপিং করার ঝোঁক থাকে, তেমনি অনেক স্মার্ট আর আলাপি ছেলেরও চরিত্রগত সমস্যা থাকতে পারে। তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তবতা মেনে চলুন।
লেখক: সম্পর্কবিষয়ক পরামর্শক