যেকোনো সময় দুর্ঘটনা বা অসতর্কতায় পুড়ে যাওয়ার মতো মারাত্মক যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি ঘটে যেতে পারে। রান্নাঘর, মশা মারার কয়েল, গরম পানি বা বৈদ্যুতিকসামগ্রী ব্যবহারে অসতর্কতাও অনাকাঙ্ক্ষিত পুড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করাই কাম্য। এমন দুর্ঘটনা ঘটলে জরুরিভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এতে ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
যা করবেন
১. দেহের পুড়ে যাওয়া স্থান থেকে কাপড়, গয়না বা ধাতব কিছু থাকলে দ্রুত খুলে ফেলুন।
২. দগ্ধ ক্ষতে ২০ মিনিট ঠান্ডা পানি ঢালুন। কম বা বেশি নয়।
৩. ক্ষতস্থান পরিষ্কার ও নরম কাপড় দিয়ে আলতো করে মুড়িয়ে নিন।
চিকিৎসকের কাছে যাবেন যখন
পয়সার আয়তনের চেয়ে বেশি পরিমাণ পুড়ে গেলে
মুখ, হাত, পা বা কুঁচকি দগ্ধ হলে
কেমিক্যাল বা বিদ্যুতের আগুনে দগ্ধ হলে
পুড়ে গেলে যা করবেন না
ক্ষতস্থানে বরফ বা ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
লোশন, মলম বা তেলজাতীয় কিছু দেবেন না।
মদ বা মদজাতীয় তরল ব্যবহার করবেন না।
ফোসকা গলাবেন না।
তোয়ালে বা পশমজাতীয় কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান ড্রেসিং করবেন না।
পুড়ে যাওয়ার কারণে কাপড় ক্ষতস্থানে আটকে গেলে তা তুলবেন না।
লেখক: প্লাস্টিক সার্জন ও বার্ন বিশেষজ্ঞ, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ঢাকা।