>রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ব্যয়াম করুন। কোনো দিনই যেন বাদ না পড়ে। এক দিন হঠাৎ করে অনেক বেশি সময় ব্যায়াম করবেন না।
ডায়াবেটিসের রোগীদের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত বেশি। আবার তাঁরা আক্রান্ত হলে জটিলতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিও অপেক্ষাকৃত বেশি। বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত, তাঁদের ঝুঁকি অন্য ডায়াবেটিস রোগীদের চেয়ে বেশি। তাই এ সময় এই রোগীদের খুবই সাবধানে থাকতে হবে। বাইরে যাওয়া যতটা সম্ভব এড়াতে হবে। এদিকে বাইরে যাওয়া বন্ধ থাকায় ব্যায়ামও প্রায় বন্ধ। এতে আবার ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো হলো—
১. প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ম করে বাসায় হাঁটুন।
২. বাসা তেমন বড় না হলে ছাদে হাঁটা যেতে পারে। তবে ছাদে বেশি লোকসমাগম হলে সেখানে যাওয়ার দরকার নেই।
৩. একবারে ৩০ মিনিট হাঁটতে না পারলে তিনবারে হাঁটুন। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের দেড় ঘণ্টা পর ১৫ মিনিট (না পারলে ১০ মিনিট) করে হাঁটুন।
৪. এখনো আগের মতোই নিয়ম করে হাঁটা শুরুর আগে ওয়ার্মিং আপ ও পরে কুলিং ডাউন করবেন। ৫-১০ মিনিট খালি হাতের
ব্যায়াম করুন।
৫. যাঁদের পক্ষে সম্ভব ট্রেডমিল মেশিন, ঘরে ব্যবহারযোগ্য সাইকেলে ব্যয়াম করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ২০ মিনিটের ব্যায়ামই যথেষ্ট।
৬. দেয়াল বা কোনো বড় শক্ত কাঠামোর বিপরীতে হাত ও পা দিয়ে চাপ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড শরীরের ওজন ধরে রাখুন (রেজিসস্ট্যান্স এক্সারসাইজ)।
৭. কম বয়সীরা দড়ি লাফ (দিনে ৩০০ বারের মতো) দিতে পারেন।
৮. অস্থিসন্ধির (জয়েন্ট) নড়াচড়ার ব্যায়াম করতে হবে (যেমন—হাঁটু বাঁকা ও সোজা করা, কোমর, ঘাড়, গোড়ালি, কনুইয়ের ব্যয়াম ইত্যাদি)।
এ সময় যে বিষয়গুলোয় সতর্ক থাকবেন—
৯. এ সময় বাড়ির বাইরে হাঁটা একদম নিষেধ।
১০.পাবলিক ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল, খেলার মাঠ ইত্যাদি জায়গায় যাওয়া চলবে না।
১১. রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ব্যয়াম করুন। কোনোদিনই যেন বাদ না পড়ে। একদিন হঠাৎ করে অনেক বেশি সময় ব্যায়াম করবেন না।
১২. অসুস্থ হলে, জ্বর বা ডায়রিয়া হলে ব্যায়াম বন্ধ রাখুন।
ডা. শাহজাদা সেলিম, সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)