জিব ও মুখের ঘা অবহেলা নয়

অনেকে পানের সঙ্গে জর্দা খান, কেউ মুখে গুল নেন। অনেকে আবার তামাকপাতার সঙ্গে চুন মিশিয়ে গালে রাখেন। এসব ব্যবহারে জিবে ও মুখে ঘা হতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে ক্যানসারের রূপ নিতে পারে। এসব অভ্যাসের সঙ্গে যাঁদের ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশি।

যাঁদের ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রিউমাটিক ডিজিজ ও পরিপাকতন্ত্রের রোগ রয়েছে এবং দীর্ঘদিন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, বিশেষ করে স্টেরয়েড গ্রহণ করছেন, যাঁরা কৃত্রিম দাঁত ব্যবহার করেন, তাঁদেরও মুখে ঘায়ের ঝুঁকি রয়েছে। কাজেই মুখের ভেতর যেকোনো ধরনের ঘা বা রং পরিবর্তন হওয়ামাত্র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে খাবার খাওয়ার সময় মুখের ভেতর জ্বালা বা ব্যথা করে কি না। এ ছাড়া জিব ফেটে গেলে বা জিভের রং পরিবর্তন হলে, মুখের ভেতরের দিকে, মাড়িতে, গালের ভেতরের অংশে ঘা হলে অবহেলা করা চলবে না। মুখের ভেতরে কোথাও দেবে যাওয়া, সাদা রঙের ক্ষতও ক্যানসারের পূর্বাবস্থা হতে পারে।

কাজেই ব্রাশ করার সময় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখের ভেতর ও গালের ভেতরটা ভালো করে খেয়াল করতে হবে। যেকোনো ঘা, তা ছত্রাকজনিত বা ওষুধজনিত কিংবা ভিটামিনের অভাব, যে কারণেই হোক না কেন অবহেলা না করে চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসার পরও দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ঘা স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শে বায়োপসি অথবা মাংসের টিস্যু পরীক্ষা করতে হবে।

অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী, দন্ত বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

>আগামীকাল পড়ুন: ব্যথা কমাতে গরম পানির সেঁক

প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্ন: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কী?

উত্তর: বেশি করে পানি পান করুন। আঁশযুক্ত খাবার, যেমন প্রচুর শাকসবজি, খোসাসহ ফলমূল, গোটা শস্যের তৈরি খাবার খান। নিয়মিত হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন ইসবগুলের ভুসি পানিতে ভিজিয়ে পান করতে পারেন। থাইরয়েডের সমস্যা বা ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণ করুন।

ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেক সময় ঘরে বসে কিংবা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। আপনার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান। উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বয়স লিখতে ভুলবেন না।

ই–মেইলে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান: valothakun@prothomalo.com