চোখের এ সমস্যা পুরোপুরিভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। যদি প্রাথমিক অবস্থায় সমস্যা শনাক্ত করা সম্ভব হয় এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা করানো যায়, তাহলে জটিলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লেজি আই বা চোখের আলসেমি। শিশুদের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ। শৈশবেই চোখ ও দৃষ্টিশক্তির স্বাভাবিক বিকাশ না ঘটলে এ সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। সাধারণত এ সমস্যা এক চোখে দেখা দেয়। কিন্তু অনেক সময় দুচোখের ওপরেও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক সময়ে এ সমস্যার চিকিৎসা না করালে পরবর্তীকালে এটি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। সাধারণত জন্মের পর থেকে সাত বছর বয়সের মধ্যে এ সমস্যা দেখা দেয়। শিশু একটি চোখে, কখনো দুটি চোখে কম দেখে।
চোখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া বা খিঁচুনি। চোখের লালচে ভাব। ডাবল ভিশন বা দুটি দেখা। চোখের পাতার অস্বাভাবিক নড়াচড়া। স্মৃতিশক্তির সমস্যা। পুঁজমিশ্রিত কফ বের হওয়া। আবেগজনিত সমস্যা। হাঁটুর মাংসপেশিতে টান বা খিঁচুনি। প্রস্রাবের সঙ্গে পুঁজ বের হওয়া ইত্যাদি।
সাধারণত এ রোগের কারণ জেনেটিক বা বংশগত। এ ছাড়া যেসব শিশু অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে বা জন্মের সময় যেসব শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে, তারা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। আবার পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের যদি শৈশবকাল থেকেই চোখে ছানির সমস্যা বা চোখের মারাত্মক কোনো রোগ থাকে, তাহলে তা ঝুঁকিপূর্ণ।
শৈশবে চোখের বা দৃষ্টিজনিত যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। সমস্যা দূরীকরণে রোগীদের আই প্যাচ, আইড্রপ ও চশমা কিংবা কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন করারও দরকার পড়তে পারে।
চোখের এ সমস্যা পুরোপুরিভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। যদি প্রাথমিক অবস্থায় সমস্যা শনাক্ত করা সম্ভব হয় এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা করানো যায়, তাহলে জটিলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। পরিবারের কোনো সদস্য এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে শৈশব থেকেই শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। নিয়মিত চোখের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
আগামীকাল পড়ুন: গর্ভাবস্থায় জলবসন্ত হলে করণীয়