ভালো থাকুন

কোষ্ঠকাঠিন্য কেন?

কোষ্ঠকাঠিন্য একটা যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর সমস্যা, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলত্যাগের সময় রক্তপাত এবং পাইলস ও এনাল ফিশারের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নিই কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়, আর এ থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়।

খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের ঘাটতি ও অপর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, অন্ত্রের কোনো গুরুতর সমস্যা যেমন: টিউমার বা বাধার কারণে এমন হয়। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মধ্যে এ সমস্যা খুব বেশি দেখা যায়। বিষণ্নতা এবং মাদক সেবনের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কিছু ওষুধ যেমন: ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যালুমিনিয়ামসমৃদ্ধ অ্যান্টাসিড প্রভৃতি কোষ্ঠকাঠিন্যে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া খাদ্যনালির কিছু জটিল রোগেও পায়খানা বন্ধ বা অনিয়মিত হতে পারে।

এড়ানোর উপায়:

* প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। খেতে হবে আঁশসমৃদ্ধ খাবার, যেমন: ঢেঁকিছাঁটা চাল, লাল আটা, গোটা শস্য, শাকসবজি ও ফলমূল।

* তেল-চর্বি জাতীয় খাবার, ভাজা-পোড়া ও মাংস কম খেতে হবে।

* রুটি খেলে কোষ্ঠ বেশি কঠিন হয়, এ ধারণা ভিত্তিহীন। কেননা আটা, বিশেষ করে লাল আটায় বেশি পরিমাণে আঁশ থাকে। তবে পরোটা বা নান রুটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

* ধূমপান করলে পায়খানা পরিষ্কার হয় বলে যে ধারণা প্রচলিত রয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। তামাকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কোনো উপাদান নেই।

* নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম ও শরীরচর্চা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যথেষ্ট সহায়ক হতে পারে। নিয়মিত খেতে পারেন ইসবগুলের ভুসি।

কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি যদি কারও মলত্যাগের আগে ও পরে রক্তপাত হয় অথবা মলের সঙ্গে রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা অনুভব হয় অথবা ওজন কমতে থাকে, তবে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডা. এ হাসনাত শাহীন : বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা

স্বাস্থ্যবটিকা®  ব্রোনস্মিথ

হট ডগ ও কোল্ড কাটসের (মাংসের টুকরা) মতো খাবারগুলো প্রক্রিয়াজাত মাংসে তৈরি। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ ক্ষতি ধূমপান ও অ্যাসবেস্টসের সমপর্যায়ের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কয়েক দশকের অন্তত ৮০০টি গবেষণার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে এ কথা জানিয়েছে।

স্বাস্থ্যবটিকালক্ষ্যরোগনির্ণয়গোছেরকিছুনয়

প্রশ্নোত্তর

উত্তর: দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর সঠিক চিকিৎসা না করানো হলে তার দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। মাংসপেশি এবং স্নায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তা ছাড়া খাদ্যনালিতে ছিদ্র হতে পারে বা তা থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তাই টাইফয়েডের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

অধ্যাপকখানআবুলকালামআজাদ

মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল