উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। কারণ, অনেকের ক্ষেত্রে এই রোগ খুব সহজে ধরা পড়ে না। আবার ধরা পড়ার পর সঠিক চিকিৎসা না হলে বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা অনেক জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজকাল শুধু বয়স্ক মানুষই নন, যেকোনো বয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা দেখা যায়। সাধারণত বেশি ওজন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ঘাটতির কারণে এমনটা হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ নিয়মিত সেবনের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি।
তাই বলে খাদ্যাভ্যাসে যে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে, তা কিন্তু নয়। ছোট কিছু পরিবর্তনেই উচ্চ রক্তচাপের নেতিবাচক প্রভাব থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। প্রতিদিন তাজা ফল যেমন লেবু, জাম্বুরা, পেয়ারা, আমলকী, আপেল, কমলা, মাল্টা, ডালিম, কলা, নাশপাতি, পেঁপে ইত্যাদি খেতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে সবুজ শাকসবজি যেমন পালংশাক, কলমিশাক, মুলাশাক, পাটশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, শসা, মুলা, লাউ, মটরশুঁটি, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, কুমড়া
ইত্যাদি। খাদ্যতালিকায় পটাশিয়াম–জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সাধারণত ডাবের পানি, কলা, টমেটোসহ কিছু সবজিতে পটাশিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বাদাম, শালগম, তিসি, ডার্ক চকলেট ও কালিজিরা ভালো কাজ করে।
এবার জেনে নেওয়া যাক উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে:
লবণ ও বেশি লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। টেস্টিং সল্ট, বিট লবণ ও অন্যান্য মুখরোচক লবণ খাওয়া থেকেও বিরত
থাকতে হবে। সয়া সস পরিহার করতে হবে।
অতিরিক্ত মাখন, তেলযুক্ত খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, পরোটা, লুচি, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
ডিমের কুসুম, খাসির মাংস, গরুর মাংস ইত্যাদি কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
চাটনি, ভর্তা ও আচারে প্রচুর তেল ও লবণ ব্যবহার করা হয়, যা উচ্চ রক্তচাপের রোগীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো এড়াতে হবে।