পুষ্টির প্রায় সব উপাদান বিদ্যমান বলে ডিম জনপ্রিয় খাবার। একটি সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তাই যেকোনো বয়সের মানুষই এটি খেয়ে থাকেন। তবে হঠাৎ ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প খুঁজছেন অনেকে। আবার অনেকে আছেন ডিম খেতে ভালোবাসেন না। ডিমের পুষ্টির বিকল্প খাবার কোনগুলো হতে পারে, তা নিয়ে এই লেখা।
মসুর ডাল: উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের শ্রেষ্ঠ উৎস। মসুরে আছে আঁশ, তাই ওজন কমাতে সাহায্য করে এই ডাল। এক কাপ মসুর ডাল রান্না করে খেলে মিলবে ১৪ থেকে ১৬ গ্রাম প্রোটিন।
কাঠবাদামের মাখন: ৫০ গ্রাম কাঠবাদামের মাখনে প্রোটিন থাকে প্রায় ১০ গ্রাম। ‘পিনাট বাটার’ বা চিনাবাদামের মাখনের তুলনায় ‘আমন্ড বাটার’ বা কাঠবাদামের মাখন বেশি স্বাস্থ্যকর।
টোফু: সকালের নাশতায় ডিমের পরিবর্তে খেতে পারেন উদ্ভিজ্জ প্রোটিন টফু। মূলত সয়া মিল্ক দিয়ে তৈরি হয় টোফু। টোফুতে ক্যালোরি থাকে ৬২ গ্রাম। প্রচুর আয়রনও আছে। ডিম ও টোফু প্রায় একই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
মিষ্টিকুমড়া: মিষ্টি কুমড়া খেতে অনেকেই ভালোবাসেন, কেউ আবার নাম শুনে নাক সিঁটকান। বিশেষ করে শীতকালে মিষ্টিকুমড়া একেবারেই একঘরে হয়ে পড়ে। কিন্তু জানেন কি মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে ডিমের সমান পুষ্টি! তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন মিষ্টি কুমড়া।
অলিভ অয়েল: ডিম ছাড়া কেক খেতে চান? তাহলে অলিভ অয়েল দিয়ে বানান। ডিমের স্থান অনেকটাই পূরণ করে দেবে অলিভ অয়েল। এ ছাড়া প্রতিদিনের রান্নায় একটু করে অলিভ অয়েল থাকলে আপনার ডিমের পুষ্টিচাহিদা পূরণ হবে।
কলা: একটি কলায় একটি ডিমের সমান পুষ্টি পাবেন। সকালে ডিমের বদলে সিকি কাপ ব্লেন্ড করা কলা (স্মুদি) খেতে পারেন। পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে।
চিয়া বীজ: ডিমের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন চিয়া বীজ। রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ। স্বাদের পাশাপাশি রান্না থেকে ডিমের সমপরিমাণ প্রোটিন পাবেন।
ছোলা: লৌহ, ফসফেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, দস্তা, ভিটামিন কে, এগুলোর সবই আছে ছোলায়। আর এক কাপ ছোলা থেকে পাবেন প্রায় ১২ গ্রাম প্রোটিন। সিদ্ধ, রান্না এমনকি কাঁচাও খেতে পারেন এটি।