পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতিদিন পাঠকের অসংখ্য চিঠি ও মেইল আসে মনের বাক্সের ঠিকানায়। সেখান থেকে নির্বাচিত কয়েকটি লেখা ছাপা হলো এখানে
তানিয়া,
এ লেখা তোমার চোখে পড়বে কি না, জানি না। দেখা তো হয় না। হলেও মুখে বলতে পারতাম না। তাই ১৯৯১ সালের পর এই লেখা। কত বছর দেখি না তোমায়। ৩২ বছর কেটে গেছে, জানি না কেমন আছ। আমি তো সেই থেকেই সুখী মানুষের অভিনয় করছি। আজও ভুলতে পারিনি, আর হয়তো পারবও না। তুমি ছিলে নির্ভুল–নির্মল। আমি জেনেবুঝেই দূরে সরে গেছি। জানি তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছ। আমি যদি সরে না যেতাম, তোমার মানসম্মানের ক্ষতি হতো। তুমি অন্যের কাছে তামাশার পাত্র হতে। আমি তো ছিলাম শিকড়বিহীন গাছ। শেষ বেলায় এসে তাই ক্ষমা চাই। ক্ষমা করে দিয়ো। তোমার ভালোবাসার ঋণ শোধ হওয়ার নয়। বিশ্বাস না করলেও বলছি, আজও তোমায় বড্ড বেশি ভালোবাসি। আমৃত্যু ভালোবাসব। তোমাকে অনুভব করি প্রতিমুহূর্তে, শয়নে–স্বপনে।
সুস্থ থেকো, ভালো থেকো।
মোহাম্মদ হানিফ বাবুল
চকবাজার, চট্টগ্রাম
হঠাৎ ইউটিউবের একটি ভিডিও সামনে এল। একটি গানের ভিডিও, দেখলাম। এতই ভালো লাগল যে আমি তোমাদের অন্ধভক্ত হয়ে গেলাম। এর পর থেকে শুধু তোমাদের নিয়ে থাকি। যতই ঝড়ঝাপটা আসুক না কেন, কেউ তোমাদের আমার কাছ থেকে সরাতে পারবে না। কারণ, তোমরা আমার হৃদয়ে আছ। তোমাদের যে কবে দেখতে পাব, কে জানে! তোমরা থাকো কোরিয়ায়, আমি বাংলাদেশে। নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে তাই তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছি না। কে জানে, ভাগ্যে থাকলে দেখা হতেও পারে!
অরিত্রী, মিরপুর
নিঃসঙ্গ, একাকী জীবনে ক্লান্তিহীন পথচলায় অভ্যস্ত হয়েছি বহুকাল। কারও প্রতি অনুরাগ, আবেগ, ভালোবাসা আর তেমন কাজ করে না। এমন সময় হঠাৎ করে কেন তুমি ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত হলে আমার জীবনে? তোমাকে প্রথম দেখাতেই আমার হৃদয়ে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছিল। মনে হয়েছিল, তুমি আমার, শুধুই আমার। আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা। তোমার মোহনীয় হাসি আমার শান্ত জীবনকে অশান্ত করে দিয়েছে। জীবনে তোমাকে নিজের করে পাব কি না, জানি না। তবু তোমাকে সুখী দেখলে খুব ভালো লাগবে, কারণ তুমিই যে আমার জীবনমোহনা।
উজ্জ্বল দাস পোদ্দার
ধানমন্ডি, ঢাকা
সালটা ছিল ২০১৪। হঠাৎ করেই তোমাকে ভালো লেগে যায়। সারাক্ষণ ক্লাসের মধ্যে তাকিয়ে থাকতাম তোমার দিকে, কখন একবার তাকাবে। অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ ৯ বছরেও শেষ হলো না। পাব না জানি, তবু আজও তোমার অপেক্ষায়। স্কুলজীবনে তোমার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে। একটু খুনসুটি, লুকোচুরি—সবকিছুই এখন কেন যানি অবাস্তব লাগে।
হিরণ্যকুমার রায়
ডোমার, নীলফামারী
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স