বিশেষায়িত চিকিৎসাপদ্ধতির ব্যয় স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি। এ ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি কয়েক ধাপে সম্পন্ন করার প্রয়োজন পড়ে। সব মিলিয়ে খরচটা তাই একটু বেশিই লাগে। তবে মোট খরচ কত হবে, নির্ভর করে সমস্যার ধরন ও বিস্তৃতির ওপর। আবার প্রতিষ্ঠানভেদে একই চিকিৎসাপদ্ধতির খরচও কমবেশি হতে পারে। চিকিৎসার জন্য কোন ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ওপরও নির্ভর করে খরচ।
চিকিৎসা শুরু করার আগেই পুরো চিকিৎসার আনুমানিক খরচ সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়ে রাখতে পারেন। বুঝতেই পারছেন, আপনার চাহিদা ও প্রয়োজনের ওপর খরচটা নির্ভর করছে। ধরা যাক, আপনি শরীরের কোনো অংশের আকার পরিবর্তন করতে চান। সবার শারীরিক গড়ন যেমন এক নয়, তেমনি সবার জন্য এই গড়ন পরিবর্তনের কাজও এক রকম হবে না। তাই খরচেরও তারতম্য হবে। কিংবা ধরা যাক, কারো কেবল মুখের ত্বকে অল্প কিছু বাড়তি লোম গজিয়েছে। অন্য আরেকজন হয়তো
শরীরের অন্যান্য অংশে অত্যধিক লোমের সমস্যায় ভুগছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই দুজনের চিকিৎসার খরচটা এক রকম হবে না।
অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সরকার শামীম জানান, বাংলাদেশেও বিশ্বমানের অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি চিকিৎসা হচ্ছে। মুখের অবাঞ্ছিত লোম তোলার জন্য প্রতি ধাপে প্রয়োজন হয় ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। হাইড্রা ফেসিয়ালের জন্য খরচ পড়ে ১১ হাজার টাকা। তবে নন ব্র্যান্ডের যন্ত্রে করলে এ চিকিৎসা আরও কম খরচেও করানো সম্ভব। বোটক্সের খরচ প্রতি ইউনিট ৬০০ টাকা। ফিলারের খরচ প্রতি ইনজেকশন ৩৫–৪০ হাজার টাকা। তবে কোরিয়ান প্রযুক্তির ফিলারের জন্য খরচ তুলনামূলক কম, ১০–১৫ হাজার টাকা। পিলিংয়ের খরচ চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা। কার্বন ডাই–অক্সাইড লেজারের খরচ ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। বডি শেপিংয়ের জন্য প্রতি ধাপে খরচ পড়ে ৬ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। অনেকে মাথায় চুল প্রতিস্থাপন করেন। একটি চুল প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজন হয় মানভেদে ১০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত।