ইনস্টাগ্রামে নানা দেশের রাজপরিবারের সদস্যসের ফ্যাশন তুলে ধরে রয়্যাল ফ্যাশন পুলিশ। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই গত ৪ মার্চ পোস্ট করা হয় বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডের একটি ছবি। সেখানে রাজপরিবারের এই সদস্য দেখা দেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড ‘হার স্টোরি’র একটি জ্যাকেটে। পোশাকটি তিনি পরেছিলেন চলতি বছরের ৩ মার্চ, পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র আইভরিকোস্টের রাজধানী ইয়ামুসুক্রোতে, রাষ্ট্রীয় সফরে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত হিসেবে ওই রাষ্ট্রীয় সফরে অংশ নেন তিনি।
এই পোস্টে অনেকেই রানির ফ্যাশন সেন্সের প্রশংসা করেছেন। সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয়েছে রানির এই জ্যাকেট। সিল্কে বিভিন্ন রঙের প্রিন্ট আর এমব্রয়ডারি করা জ্যাকেটটির রয়েছে রাজকীয় আবেদন। এর সঙ্গে রানির হাতে ছিল বেলজিয়ামের ব্র্যান্ড ক্লিও গোল্ডব্রেনারের ব্যাগ। ব্যাগটি তিনি এর আগেও ব্যবহার করেছেন। জুতাটি নিয়েছেন পেনেলপি চিলভার্স থেকে। জুতাটিও রানি আগে রাষ্ট্রীয় সফরে পরেছেন।
সোনার কানের দুলটি নেওয়া ফরাসি ব্র্যান্ড সিজানো থেকে। কানের দুলের দাম ১৩০ ডলার বা মাত্র ১৪ হাজার টাকা। এই সফরে রানি মাথিল্ডে টেকসই ফ্যাশনকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। এক পোশাক বা অনুষঙ্গ বারবার পরার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
জ্যাকেটটি তিনি পরেছেন ধাতব সোনালি রঙের একরঙা কো-অর্ডস সেটের ওপর। প্যান্ট আর টপের ওপর জড়িয়েছেন জ্যাকেটটি। জ্যাকেটটিতে প্রাধান্য পেয়েছে সফট মেরুন আর নীলের শেড। ভেতরে–ভেতরে উঁকি দিয়েছে ধাতব সোনালি রং। বর্ডার লাইনজুড়ে একই রঙের পাইপিংও করা হয়েছে।
২০২৩ সালের আগস্টে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছিলেন রানি মাথিল্ডে। সেবারও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দূত হিসেবেই এসেছিলেন রানি মাথিল্ডে। বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা পরিদর্শনের পর বাংলাদেশের পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। সম্ভবত সেই সময়ই পোশাকটি সংগ্রহ করেন তিনি।
রয়্যাল ফ্যাশন পুলিশের পোস্টটি শেয়ার করে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ লেখেন, ‘বেলজিয়ামের রানি তাঁর রাষ্ট্রীয় সফরে পরেছেন বাংলাদেশের নারী কারুশিল্পীর হাতের কাজ আর শিল্প।’ উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আড়ং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের একটি সামাজিক উদ্যোগ। আড়ংয়ের কারুশিল্পীদের অধিকাংশই গ্রামীণ নারী।
আড়ংয়ের সাব–ব্র্যান্ড ‘হার স্টোরি’ লাক্সারি আর এক্সক্লুসিভ সংগ্রহ তৈরি করে। হার স্টোরির প্রায় সব সংগ্রহই তৈরি হয় সিল্ক কাপড়ে। একেকটি নকশার মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি সংগ্রহ থাকে। টপ, কোটি, ওয়ান পিসগুলোর দাম ১০ হাজার টাকার মতো। জ্যাকেটের দাম ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু।