কিছুদিন আগে অনন্ত আম্বানির প্রাক্-বিয়ে নিয়ে মেতে ছিল পুরো মিডিয়া। উপস্থিত হয়েছিল বলিউডের প্রথম শ্রেণির তারকারা। এত সব তারকার ভিড়েও আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন নীতা আম্বানি।
ভারতীয় ধনকুবের, এশীয়ার শীর্ষ ধনী, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তিনি। ষাটের কোঠায় পা দিয়েও নিজের ফিটনেস ও সৌন্দর্য, দুই-ই ধরে রেখেছেন তিনি।
হাঁটাহাঁটি দিয়ে শুরু হয় নীতা আম্বানির সকাল। অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করেন তিনি।
প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, সে ব্যাপারে খুবই সতর্ক নীতা আম্বানি। সকালের খাবারের প্রতি থাকে আলাদা নজর। প্রতিদিন বাদাম, বিটরুট ও জুস দিয়ে সকালের নাশতা সারেন তিনি।
অন্তত দুই বেলা বিটের জুস পান করেন নীতা আম্বানি। বিটের জুস যেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনই স্টেমিনা ধরা রাখতে সহায়তা করে। আর ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে বিটের বিকল্প নেই।
দিনে যত কাজের চাপই থাকুক, শরীরচর্চায় বিন্দুমাত্র ফাঁকি দেন না তিনি। নিয়ম করে যোগব্যায়াম করেন। যোগব্যায়ামের পর সাঁতার। সাঁতার খুবই ভালো ব্যায়াম। শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উপকৃত হয়। রক্ত চলাচলের ব্যবস্থা ভালো থাকে। কার্ডিও দিয়ে শরীরচর্চা শেষ করেন তিনি।
নীতা আম্বানির মতে, তাঁর সৌন্দর্যের রহস্য পানি। প্রতিদিন যখনই সময় পান, পানি পান করেন, পান করেন ডাবের পানি। যা শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে। ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
সবুজ শাকসবজির বেশ বড় ভক্ত নীতা। প্রতিদিনের খাবারে সবুজ শাকসবজি থাকা চাই-ই চাই। বিশেষ করে ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি–জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করেন তিনি। এ ছাড়া রাতের খাবারে তাঁর জন্য থাকে বিশেষ শাকসবজির স্যুপ। টাটকা খাবার, শাকসবজি খান নীতা।
রাতের খাবারেও সবুজ শাকসবজির দিকে জোর দেন নীতা আম্বানি। শাকসবজির সালাদ, ফলমূল ও স্যুপ দিয়েই রাতের খাবার সারেন তিনি। রাতের খাবারের পরিমাণের থেকে নিউট্রিশনে জোর দেন তিনি, যা তাঁর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এসব খাবারে ঘুমও হয় ভালো।
বাইরের খাবার ছুঁয়েও দেখেন না নীতা আম্বানি। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাইরের খাবার খান না তিনি। চিনি ছাড়া ঘরে বানানো খাবারই তাঁর পছন্দ।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া