১. বডি পজিটিভিটির এই যুগে সবকিছুকে ছাপিয়ে সবার ওপরে প্রাধান্য পাবে আপনার স্বাচ্ছন্দ্য। আপনি যেই পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, সেটিকেই গায়ে চাপান। হতে পারে সেটি মিনি ড্রেস বা ওভারসাইজড! মোদ্দাকথা হলো, পোশাকটির লুক, ডিজাইন আপনাকে ভেতর থেকে কেমন অনুভূতি দিচ্ছে, সব ছাপিয়ে সেটিই বড় কথা।
২. ‘টু ড্রেসি’ বা ‘টু প্লেইন’–এর ধারণা ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। এখন বিয়ের অনুষ্ঠানেও পোশাকের রং থেকে শুরু করে সব আনুষ্ঠানিকতায় প্রাধান্য পাচ্ছে মিনিমালিজম। ভারী কাপড়, অতিরিক্ত নকশা, জমকালো গয়না, ভারী মেকআপ—এগুলো এখন আউট অব ট্রেন্ড। তাই নিশ্চিন্তে যে পোশাকে আপনার ব্যক্তিত্ব ধরা দেয়, অভ্যন্তরীণ শক্তির প্রতিফলন ঘটে, এমন কিছুই বেছে নিন। একটা একরঙা চিকন পাড়ের সাদা শাড়ি, চোখভর্তি কাজল আর খোপায় কয়েকটি লাল গোলাপ আপনাকে রাতের বিয়ের আয়োজনে সবার থেকে আলাদা আর মোহনীয় করে ফেলবে।
৩. ফ্যাশনের যত নিয়মকানুন আছে, তার ভেতর এই মুহূর্তে ‘ব্রেক দ্য রুলস’-ই রাজত্ব করছে। অর্থাৎ কী ট্রেন্ডে আছে, না–আছে, ভুলে যান। অন্য কাউকে আপনার ফ্যাশন ঠিক করে দিতে বা আন্দাজ করতে দেবেন না। আপনার ফ্যাশনের সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার। কোনো ট্রেন্ডে নিজেকে ফিট করবেন না বরং আপনি-ই হয়ে উঠুন ট্রেন্ডসেটার।
৪. নিজের শরীরকে ভালোবাসুন। ২০২২ সালে বিশ্ব ফাশনের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো ইনক্লুসিভিটি বা অন্তর্ভুক্তিকরণ। ডাইভারসিটি বা ভিন্নতাকে বরণ করে নেওয়া। সৌন্দর্যকে কোনো বাক্সে আটকে না রেখে সব সৌন্দর্যকে উদ্যাপন করা। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর আপনার কাজ হবে, আপনি যেমন, সেই আপনাকেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভালোবাসা।
৫. আপনার ফ্যাশন স্টেটমেন্টের মধ্যে বয়স কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। চাইলেই আপনি ৬৫তেও মিনিড্রেস পরতে পারেন। চুমকির পোশাকে পার্টি ড্রেস বানাতে পারেন। আপন করে নিতে পারেন টকটকে লাল, মেরিগোল্ড, রয়্যাল ব্লু, রুবি, মেরুন, গাঢ় এমারেল্ড গ্রিনের মতো রংগুলোকে।
সূত্র: ফেমিনা ইন্ডিয়া