সেরা ৩০–এ শেষ হলো মিস্টার ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের যাত্রা

মিস্টার ওয়ার্ল্ডের ১১তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বি প্রসাদ দাস।
ছবি: সংগৃহীত

মিস্টার ওয়ার্ল্ডের ১১তম আসরে এ বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন মিস্টার ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ বি প্রসাদ দাস। ৪ নভেম্বর ভিয়েতনামে শুরু মূল পর্ব।

বিশ্বের ৮০টি দেশের বিজয়ীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সেরা ৩০-এ আসেন তিনি। ২৪ নভেম্বর পুয়ের্তো রিকোর ড্যানিয়েল মেজিয়া রোমেরিওর মাথায় ওঠে মিস্টার ওয়ার্ল্ডের মুকুট।

একজন মানুষের ফিটনেস নির্ভর করে তাঁর স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ওপর এমনটাই মনে করেন বি প্রসাদ

২৪ বছর বয়সী, ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার মিস্টার ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ পড়াশোনা করছেন রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশাদার মডেল পরিচয়ের পাশাপাশি বি প্রসাদ সার্টিফিকেটধারী ফিটনেস কোচ ও পুষ্টিবিদ।

মিস্টার ওয়ার্ল্ড ২০২৪–এর মঞ্চে বি প্রসাদ জানান, তিনি ‘মিশন ফিট বাংলাদেশ’–এর লক্ষ্যে কাজ করছেন। প্রসাদ বলেন, ‘একজন মানুষের ফিটনেস নির্ভর করে তাঁর স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ওপর। তাই প্রত্যেক মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ। আবার বিপরীতভাবেও বিষয়টা সত্যি। একজন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখেন।’

পেশাদার মডেল পরিচয়ের পাশাপাশি বি প্রসাদ সার্টিফিকেটধারী ফিটনেস কোচ ও পুষ্টিবিদ।

বি প্রসাদ চান, স্কুল-কলেজ থেকেই যেন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, পুষ্টি, ব্যায়াম, মানসিক স্বাস্থ্য, ফিটনেস ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন করা হয়। এ জন্য পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই মিস্টার ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ।

২৫ নভেম্বর ঢাকায় ফিরে মিস্টার ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ বি প্রসাদ সেন বলেন, ‘এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। এ রকম একটা সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ। চূড়ান্ত পর্বের রাতে আমরা ৮০ জন দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখান থেকে সেরা ৩০–এ এলাম। সামনে ১০ হাজারের মতো মানুষ।

৩৫ লাখ মানুষ তখন অনলাইনে সরাসরি আমাদের দেখছেন। এতগুলো রাউন্ড পেরিয়ে এত সেরাদের পেছনে ফেলে সেরা ৩০–এ ঢুকে মনে হলো, নিশ্চয়ই পুরুষের সৌন্দর্যের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমি ভালো কিছুই করেছি।’