আরামের জন্য এখন চলছে ওভারসাইজ বা ঢিলেঢালা পোশাকের চল। ঢিলেঢালা পোশাক হিসেবে কাফতান হতে পারে আদর্শ। লম্বায় খাটো প্যাটার্নের কাফতানগুলো টপ হিসেবেও দিব্যি পরা যাবে। শিশুদেরও পরানো হচ্ছে হালকা রং ও নকশার কাফতান।
ফ্যাশন হাউস শৈশবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব চৌধুরী বলেন, প্রজাপতি আকারের বলে কাফতানের হাতার অংশ হয় খোলামেলা। ফলে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। ৫ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এই পোশাক আরামদায়ক। শিশুদের মধ্যে কাফতান পোশাকটি তাই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড দেশালের প্রধান ডিজাইনার ও স্বত্বাধিকারী ইশরাত জাহান বলেন, সাধারণত শিশুদের পোশাক নকশার সময় সব ধরনের নিরীক্ষার পেছনেই থাকে তাদের আরাম। এ কারণে শিশুদের জন্যও এখন বানানো হচ্ছে কাফতান। তবে এই কাফতানের নকশা ও প্যাটার্নে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে।
বড়দের জন্য নকশা করা কাফতানের মতো শিশুদের কাফতানে থাকে না বাড়তি কারুকাজ। শিশুদের কাফতানের লম্বায় ঝুলও থাকে কম। মূলত শিশুরা যেন আরামে হাঁটাচলা ও ছোটাছুটি করতে পারে, সেদিকটায় খেয়াল রাখা হয়।
ছোট লম্বার কাফতানগুলো শিশুরা টপের বিকল্প হিসেবেও পরতে পারবে। ফ্যাশন হাউসগুলোতে শুধু কাফতানই থাকছে, যা লেগিংসের সঙ্গে পরা যাবে। এ ছাড়া শিশুদের সেট কাফতানও রয়েছে। প্রতিদিনের পোশাক ছাড়াও যেকোনো অনুষ্ঠানে পরার উপযোগী ঘের দেওয়া খোলামেলা প্যান্টসহ কাফতান পাওয়া যাচ্ছে। এই গরমে পাতলা সুতি পোশাকের বিকল্প নেই, পাশাপাশি আরামদায়ক সিল্কের কাফতানেও আরাম পাবে শিশুরা।
ছোটদের কাফতানে আরামের কথা বিবেচনায় রেখে ফিতা দেওয়া ও সেলাই করে পাশ বন্ধ—দুই ধরনের কাফতানই ফ্যাশন হাউসগুলো রেখেছে। ফিতা দেওয়া কাফতান চাইলে ছোট বড় করে নেওয়া যাবে। সেলাই করে পাশ বন্ধ কাফতানে সে সুযোগ থাকছে না। সে ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা বড় আকারের কাফতান কেনাই ভালো।
ছোটদের কাফতানে চুমকি, পুঁতি, পাথর, কারচুপি বা এমব্রয়ডারিতে গুরুত্ব কম দেওয়া হয়। ব্লক প্রিন্ট ও স্ক্রিন প্রিন্টই প্রাধান্য পায় বেশি। বাড়তি কারুকাজে পোশাকের ওজন যেন বেড়ে না যায়, সেদিকেও নজর দেওয়া হয়। শিশুদের কাফতানে মোটিফ হিসেবে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয় প্রজাপতি। পোশাকের কাটের সঙ্গে মিল রাখতেই এই নকশার প্রয়োগ বেশি। এ ছাড়া ফুল, পাখি ও প্যাটার্ন নির্ভর নকশাও করা হয়।
গলার কাটে বেশি চলছে ছোট গোল গলা। শিশু যেন গলার অংশে আরাম পায়, তাই নিরীক্ষাধর্মী গলার ব্যবহার কম। পোশাকের রঙের কারণেও গরমে অনেক সময় শিশুদের ত্বকে প্রদাহের মতো সমস্যা দেখা যায়। শিশুদের ঢিলেঢালা কাফতানগুলো মূলত সাজানো হয়েছে সাদা, হালকা গোলাপি, ল্যাভেন্ডার, হালকা বেগুনি, জলপাই রং, হালকা লালচে কমলা, হালকা হলুদ রং দিয়ে।