গরমে সবাই চান আরামের পোশাক। প্রায় সব জায়গাতেই এখন পরা যায় কুর্তা বা টপ। পরিবেশ অনুযায়ী কাট, উপকরণ আর কাজ বেছে নিলেই হলো। কিশোরী থেকে শুরু করে চল্লিশোর্ধ্বরাও এখন এই পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য। ফ্যাশন হাউসগুলো দেশীয় থেকে শুরু করে পাশ্চাত্য—সব ধরনের কাট দেওয়াতে ভিন্নতাও পাওয়া যায়। একঘেয়েমি কাটাতে একই কুর্তা নানা কাটের প্যান্টের সঙ্গেও পরা যায়। কুর্তাতে এখনো ঢিলেঢালা কাটটাই প্রাধান্য পাচ্ছে। ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন নরম কাপড় আর কম কাজের প্রতি। এই আবহাওয়ায় এটাই উপযোগী। ঢিলেঢালা লম্বা বা ছোট কুর্তা, টপ বা শার্ট চলতি ধারায়ও চলছে। ব্যস্ত দিনে স্টাইল আর স্বস্তি দুটোই পাওয়া যায়।
যেকোনো উৎসবের সময় এ ধরনের টিউনিক অনেকটাই আদর্শ। ভিসকস স্যাটিনে বানানো টপটি গরমে পরেও আরাম। রঙের কারণে উৎসবের একটা আবহও চলে এসেছে। গলার কাছে করা সোনালি চুমকির কাজ এনে দিয়েছে জমকালো ভাব। চুমকির সঙ্গে আছে লাল, বেজ আর সাদা সুতার কাজ। পুরো টপের ওপরে ব্লক প্রিন্ট ছাড়াও আছে মেশিন ও হাতের কাজ। হাতার কাটে প্রাধান্য পেয়েছে বিশপ কাট। ঢোলাঢালা হওয়ায় পরেও আরাম পাবেন।
টপটির রং আর নকশার কাজ হালকা হওয়ায় দিনের বেলায় পরতে পারবেন। আবার কাজ ও রং—দুটোই অভিজাত হওয়ায় বিকেল বা সন্ধ্যার কোনো দাওয়াতেও মানিয়ে যাবে।
যাঁরা লম্বা কাটের কুর্তা পরে স্বস্তি পান, তাঁদের জন্য এটা মোক্ষম। পুরো পোশাকেই প্রাধান্য পেয়েছে ব্লক প্রিন্ট আর মেশিন এমব্রয়ডারির কাজ। পোশাকের সামনে বোতামের অংশটিতে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কাটওয়ার্কের কাজ যোগ করা হয়েছে। কলারটিতেও কাটওয়ার্কের কাজ। হাতার একদম মাথায় স্মোকিংয়ের কাজ। কোমরের জন্য আছে আলাদা বেল্ট।
সিল্কের কাপড়ে বানানো এই টপের ওপরে সাবলিমেশন প্রিন্টের (ডিজিটাল প্রিন্টের একটি ধরন) মাধ্যমে নকশা করা হয়েছে। আলাদা মাত্রা এনেছে কোমরের স্মোকিং ডিজাইন।
কালার ব্লকিং আবারও আসছে ফ্যাশনে। পুরোপুরি বিপরীত দুটি রং প্রাধান্য পাবে একটি পোশাকে। শিমারি জর্জেট দিয়ে বানানো এই টপেও কালার ব্লকিং হিসেবে সবুজ ও নীল রং আছে। গলা ও হাতের কাছে হালকা কুঁচির কাজও রাখা হয়েছে। রাতের আড্ডার জন্য মানানসই এই টপ।
ম্যাজেন্টা রঙের কুর্তার কাটটি সহজেই নজর কাড়বে। টপটির হাতা বাদ দিয়ে বাকি অংশটি কাফতান কাটের ধাঁচে করা হয়েছে। বানানো হয়েছে ডাবল জর্জেট দিয়ে। টপটিতে প্রাধান্য পেয়েছে নানা রঙের সুতার মেশিন এমব্রয়ডারির কাজ।