আবার ফ্যাশনেবল হয়ে উঠেছে বটুয়া। দাওয়াতে বা সারা দিনের ঘোরাঘুরিতে প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি স্টাইলের দাবিও মেটাবে এ ব্যাগ। বানিয়ে দেখিয়েছেন রাইবা তাজরীদ।
১. জামদানি কাপড়, এটি বাইরের অংশে থাকবে, ১০ বাই ১৮ ইঞ্চি।
২. ভেতরে ব্যবহারের জন্য কাপড়, ৮ দশমিক ৫ বাই ১৮ ইঞ্চি।
৩. সুই এবং কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে সুতা।
৪. কাঁচি
৫. কাপড়ের কিংবা রবারের ফিতা।
৬. কাপড়ের কিংবা প্লাস্টিকের টার্সেল।
৭. হাতল বানানোর জন্য পুঁতি।
৮. ৩ ইঞ্চি ব্যাসার্ধ রেখে একটি বকরম।
প্রথমেই জামদানি কাপড়টি ওপর থেকে ভাঁজ দিয়ে ভেতরের কাপড়ের ওপর নিয়ে আসতে হবে এবং সেই ভাঁজ ধরেই সেলাই দিতে হবে।
দুটি কাপড় একসঙ্গে উল্টো দিক থেকে মাঝ বরাবর লম্বালম্বিভাবে ভাঁজ করে নিন। প্রান্তিক অংশে দুটি সেলাই দিয়ে নিন।
ওপরের যতটুকু অংশে জামদানি কাপড়টি ভাঁজ দেওয়া আছে, ততটুকু অংশ সেলাই করার প্রয়োজন নেই।
বকরমটি দুটি কাপড়ের ওপর রেখে সেলাই করে নিন। ১ ইঞ্চি জায়গা বাদ দিয়ে সেলাই করুন। কারণ, সেই জায়গাটুকু দিয়ে কাপড় সোজা করে নেওয়া হবে। এবার কাপড় দুটি বকরমের মাপ অনুযায়ী কেটে নিন। সোজা করে নিন। ১ ইঞ্চি বাদ রাখা অংশটি সেলাই দিতে হবে।
ব্যাগের নিচের অংশ আর বকরমের অংশটি সেলাই করে দিন।
ব্যাগের ভেতর কালো ক্লিপ বা সেফটি পিনের সাহায্যে ফিতা ঢুকিয়ে নিন। ফিতার শেষ প্রান্তে টার্সেল ঢুকিয়ে গিঁট দিয়ে নিন। টার্সেল থেকে ফিতা বের হবে না।
পছন্দমতো পুঁতি দিয়ে বানিয়ে নিন ব্যাগের হাতল।
*ভাঁজগুলো সুন্দরভাবে বসার জন্য ও কাজের সুবিধার্থে কাপড় ইস্ত্রি করে নিন।
*সেলাইয়ের পূর্বে ও সেলাইয়ের সময় কাপড়ে ছোট ছোট পিন ব্যবহার করুন। তাহলে কাপড় সরে যাবে না।
*দ্রুত কাজ শেষ করতে চাইলে সেলাই মেশিন ব্যবহার করুন।