তারকাদের যেসব স্টাইল দেখা যাবে ঈদে

২৪ মে হয়ে গেল মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩। সাজপোশাকের পাশাপাশি নানা অনুষঙ্গে নিজেদের স্টাইল তুলে ধরেন তারকারা। সাজপোশাকে সাধারণত চলতি ধারাকেই অনুসরণ করে থাকেন তাঁরা। ঈদে কী ধরনের চুলের স্টাইল, ব্যাগ, গয়না বা পোশাক দেখা যাবে, সেটার একটা মোটামুটি ধারণা এসব সাজপোশাক থেকে পাওয়া যায়।

পোশাকে অনুষঙ্গে মুক্তা

সাফা কবির

পোশাকে অনুষঙ্গে মুক্তা এ বছর বেশ প্রাধান্য পেয়েছে। মেরিলে বিভিন্ন তারকার ব্লাউজ, শাড়ির আঁচল, গয়না কিংবা হাতের ব্যাগে দেখা গেছে তারই একঝলক।

আঁটসাঁট চুল

তমা মির্জা

মেরিল-প্রথম আলোতে বেশির ভাগ তারকার চুলই ছিল এবার আঁটসাঁট করে বাঁধা; অর্থাৎ গরমের সময় চুল বেঁধে রাখার স্টাইলটাই এবার চলবে। চুলে নানা ধরনের ক্লিপ, খোঁপার গয়নার ব্যবহার দেখা গেছে। এ বছর বেশির ভাগ তারকাই গোলাপ ফুল লাগিয়েছিলেন খোঁপায়। হাতে গোনা কয়েকজন বেলি ফুল বেছে নিয়েছিলেন। ঈদেও দেখা যেতে পারে এই চল।

কত রকমের ব্যাগ

তানজিয়া মিথিলা

তারকাদের হাতে দেখা গেছে নানা ধরনের ব্যাগ। বটুয়া, চারকোনা ছোট ব্যাগ আর ক্লাচই চোখে পড়েছে বেশি। ধাতব চকচকে ব্যাগ যেমন চোখে পড়েছে, তেমনি পাথর আর পুঁতি বসানো ব্যাগগুলোও দাপটের সঙ্গেই নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করছিল।

রকমারি গয়না

আজমেরী হক বাঁধন

গয়নায় কোনো নির্দিষ্ট ধারা দেখা যায়নি। বিডসের মালা যেমন ছিল, পাথরের গয়নাও ছিল। চোকার, ঝোলানো মালা, কানের টপ কিংবা লম্বা দুল, নানা স্টাইলই চোখ পড়েছে। তারকাদের কান থেকে গলা, হাত থেকে পিঠ—নানা জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছে ধাতব চকচকে নকশা, এমারেল্ড, হীরা, জারকন, রুবি, মুক্তা, অ্যামিথিস্ট।

পোশাকে নকশার অনুষঙ্গ

আরিয়ানা

পোশাকের নিচের অংশে, ওড়নায় ফ্রিলের ব্যবহার দেখা গেছে। অনেকেই পরে এসেছিলেন শাড়ি গাউন। ছেলেদের ব্লেজার, মেয়েদের গাউন, শাড়ি, স্কার্ট, লেহেঙ্গায় পাথর, চুমকি, ক্রিস্টালের ঝলকানি মুগ্ধ করেছে। কোনো কোনো পোশাকে একটু মাত্রায় থাকলেও খারাপ লাগেনি কিন্তু।

রিকশাচিত্র আর স্ক্রিনপ্রিন্টও ছিল। ছিল সাদা আর হালকা রঙের জয়জয়কার। তবে কালো বা গাঢ় রংও নিজের একটা জায়গা করে নিয়েছিল। জ্যাকেট এবং কেপের নানা স্টাইলও বেশ চোখে পড়েছে। শাড়ি, গাউনের সঙ্গে ক্যাপ আর জ্যাকেটের নানা কাট বেছে নিয়েছিলেন ডিজাইনাররা। আর সেটা পরেই তারকারা এসেছিলেন অনুষ্ঠানে।

ব্লাউজ

রুনা খান

পিঠখোলা ব্লাউজ, ভারী নকশার ব্লাউজ পরে এসেছিলেন অনেক তারকা। ছিল জারদৌসি, চুমকি আর পাথরের উজ্জ্বল কাজ। হাতাকাটা ব্লাউজ যেমন ছিল, তেমনি আবার ছিল কনুই অবধি প্রলম্বিত হাতার ব্লাউজের ধারা।