১৩ ফেব্রুয়ারি অভিনয়শিল্পী অর্চিতা স্পর্শিয়ার জীবনের একটা বিশেষ দিন। এদিন সকালে গায়েহলুদ, রং খেলা শেষে ঝাউবনে সন্ধ্যা নামলে হয়েছে ‘সংগীত’। চৈত্রের শেষ দিনে কক্সবাজারের পাহাড় আর সুমদ্রকে সাক্ষী রেখে আনন্দে মেতে ওঠেন সবাই। এই ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’–এ অংশ নেন দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য আর বর–কনের কাছের বন্ধুরা। বর সিলেটের ছেলে সৈয়দ রিফাত নাওঈদ হোসেন, পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ছবিতে দেখে নেওয়া যাক আয়োজনের বিস্তারিত। ছবি তুলেছে লা ইভেন্তো বাই কাজী আরেফিন।
স্পর্শিয়া হলুদে পরেছিলেন অ্যাম্বাররঙা (হলুদ আর সোনালির মিশ্রণে গাঢ় একটা রং) একটি শাড়ি। শাড়িটি তিনি প্রতিবেশী দেশ থেকে সংগ্রহ করেছেনবিয়ের মতো হলুদেও স্পর্শিয়া মেকআপ নেননি বললেই চলে। শুধু সানস্ক্রিন ব্যবহার করেছেন ত্বকে। কনের সঙ্গে মিলিয়ে বরের পরনে ছিল হলুদরঙা পাঞ্জাবিগায়েহলুদে সানগ্লাস পরাটা এখন ট্রেন্ড। বর–কনে কেউ–ই সানগ্লাস পরতে ভোলেননিগায়েহলুদে স্পর্শিয়ার ডান কানে সূর্য আর বাম কানে চন্দ্র ছিল। গয়নাগুলো ভারতের জনপ্রিয় ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তার তৈরিস্পর্শিয়া জানান, প্রথাগতভাবে ভরতনাট্যম নাচের শিল্পীরা কানে সূর্য–চন্দ্র থিমের দুল পরে। বিয়েতে কনের কানে এই ধরনের দুল পরানো হয়। এর মাধ্যমে কনে তাঁর বিবাহিত জীবনে সূর্যের শক্তি আর চাঁদের শান্তভাবকে আমন্ত্রণ জানান। সামগ্রিকভাবে জীবনে আবেগীয় অনুভূতিতে যেন ভারসাম্য থাকে—সেটিও আরেকটি কারণ। এ ছাড়া বিয়ের আয়োজনে চাঁদ আর সূর্যের সৌন্দর্যকেও প্রতীকীভাবে ধারণ করেন কনেএ ছাড়া হলুদের আয়োজনে স্পর্শিয়ার হাতে, মাথায় আর চুলে ছিল কক্সবাজারের স্থানীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি ঝিনুকের গয়নাহলুদছোঁয়া শেষেই অনুষ্ঠিত হয়েছে রং খেলা। ছবিতে মায়ের সঙ্গে স্পর্শিয়া।স্পর্শিয়া জানিয়েছেন, এই রঙের মতো করেই তাঁরা দুজন বিবাহিত জীবনে ভালোবাসা ছড়াতে চানসংগীত অনুষ্ঠানে স্পর্শিয়ার পরনে ছিল সাদা আয়না বসানো হাতাওয়ালা ক্রপটপ আর একই প্রিন্টের মারমেইড স্কার্ট। সঙ্গে ওড়না সম্পূর্ণ করেছে লুক। সংগীতের পোশাকের এই নকশার স্পর্শিয়ার করা। বানিয়ে দিয়েছেন তাঁর ‘ড্রেস ম্যান’ মনিরগলায় ছিল ভিনটেজ নকশার রূপার চোকার। আর নাকে নথ। গয়না বলতে এটুকুইরাতের এই আয়োজনে স্মোকি আই আই হালকা লিপস্টিকে সেরেছেন সাজ। কনের সঙ্গে মিলিয়ে বরের পরনেও ছিল চুমকি বসানো সাদা পাঞ্জাবি।এ রাতে কনের সখীদের পরনেও ছিল চকচকে পার্টি থিমের বিভিন্ন সাদা পোশাক